Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Asharam Bapu Case: ‘এই সত্য অস্বীকার করতে পারি না উনি ধর্ষণে দোষী’, আশারাম বাপুকে জামিন দিতে নারাজ হাইকোর্ট

Gujarat High Court: আশারাম বাপু ৬ মাসের জামিনের আবেদন করেন। তাঁর কাউন্সিল দাবি করেন চিকিৎসকরা ৯০ দিনের পঞ্চকর্ম থেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের জন্য, ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল।

Asharam Bapu Case: 'এই সত্য অস্বীকার করতে পারি না উনি ধর্ষণে দোষী', আশারাম বাপুকে জামিন দিতে নারাজ হাইকোর্ট
আশারাম বাপু।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2025 | 6:17 PM

আহমেদাবাদ: আশারাম বাপুর জামিন নিয়ে ভিন্নমত হাইকোর্ট। আশারাম বাপু যে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত, তা ভুলে গেলে চলবে না- এ কথা মনে করিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট। শুক্রবার আশারাম বাপুর সাময়িক জামিন মামলার শুনানিচে বিচারপতি সন্দীপ ভাট বলেন,  “আশারাম শুধুমাত্র চিকিৎসার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ বাড়ানোতেই আগ্রহী। সেই সময় সঠিকভাবে ব্যবহারে নয়।”

আশারাম বাপুর জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন নিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি সন্দীপ ভাট বলেন, “আবেদনকারী ৮৬ বছর বয়সী হলেও, আমরা এই সত্য থেকে চোখ ঘুরিয়ে নিতে পারি না যে আবেদনকারী ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৩৭৬ ধারায় অভিযুক্ত এবং বর্তমানে যাবজ্জীবন সাজা কাটছেন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় আশারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ২০২৩ সালে। যাবজ্জীবনের সাজা দেওয়া হয় তাঁকে। আশারাম বাপু এরপরই ৬ মাসের জামিনের আবেদন করেন। তাঁর কাউন্সিল দাবি করেন চিকিৎসকরা ৯০ দিনের পঞ্চকর্ম থেরাপির পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সুপ্রিম কোর্ট তিন মাসের জন্য, ৩১ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল।

এদিন গুজরাট হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন রায় দেন। বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা তিন মাসের জামিন মঞ্জুরে সম্মতি জানান, অন্যদিকে বিচারপতি ভাট আশারাম বাপুর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি বলেন, “২৮ জানুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে উনি বিভিন্ন অ্যালোপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের কাছে গেলেও, তা একবারই গিয়েছেন। কোনও চিকিৎসকের কাছেই ফলো-আপের জন্য যাননি। সুপ্রিম কোর্ট মেডিক্যাল গ্রাউন্ডেই জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু রেকর্ড বলছে উনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও, কোনও চিকিৎসা গ্রহণ করেননি। উনি কেবল জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। উনি কি কোনও মেডিক্যাল রেকর্ড দেখাতে পেরেছেন যে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন? ৬০ দিনের জামিন লাগবে, তাও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য?”