IPL 2025, Prince Yadav: লখনউয়ের ‘মাথা’ব্যথা কমিয়ে নতুন নায়ক! কে এই নতুন প্রিন্স?
Lucknow Super Giants: লখনউয়ের বোলিং আক্রমণ। স্কোয়াডে একঝাঁক পেসার। কিন্তু একাধিক চোট। মিচেল মার্শ পেস বোলিং অলরাউন্ডার হলেও তিনি পুরোপুরি ফিট নন। যে কারণে তাঁকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেটে ‘প্রিন্স’ শব্দটি শুনলেই প্রথমে চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটা মুখ। কানে বাজতে থাকে, জিওফ্রে বয়কটের সেই গমগমে গলায় ধারাভাষ্য, প্রিন্স অব ক্যালকাটা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সাবলীল ব্যাটিং দেখে এই বিশেষণ যোগ করেছিলেন। পরবর্তীতে কিং কোহলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শুভমন গিলকে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স ডাকা শুরু হয়। হঠাৎই আরও এক প্রিন্সের উদয়।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ মরসুমটা শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। লখনউ সুপার জায়ান্টসে সাময়িক গেল…গেল… রব। তার অন্যতম কারণ, লখনউয়ের বোলিং আক্রমণ। স্কোয়াডে একঝাঁক পেসার। কিন্তু একাধিক চোট। মিচেল মার্শ পেস বোলিং অলরাউন্ডার হলেও তিনি পুরোপুরি ফিট নন। যে কারণে তাঁকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তেমনই লখনউ সুপার জায়ান্টসের এক্সপ্রেস গতির পেসার মায়াঙ্ক যাদবেরও চোট রয়েছে। তাঁকে ঠিক কোন ম্যাচ থেকে পওয়া যাবে, নিশ্চিত নয়। গত মরসুমে অভিষেক করলেও খেলেছিলেন হাতে গোনা ম্যাচ। আর এক পেসার মহসিন খান এবারের আইপিএল থেকে চোটে পুরোপুরি ছিটকে গিয়েছেন। এমন সময় লখনউ সুপার জায়ান্টস কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। মহসিনের পরিবর্ত হিসেবে নেওয়া হয় শার্দূল ঠাকুরকে। তবে দীর্ঘ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গেলে বিকল্পও চাই। আর এখানেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রিন্স যাদব।
এবারের আইপিএলে লখনউয়ের প্রথম ম্যাচ অর্থাৎ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেই টুর্নামেন্টে অভিষেক হয় প্রিন্স যাদবের। যদিও গ্ল্যামার, বিনোদন এবং প্রতিভার এত বড় মঞ্চে শুরুটা সুখকর হয়ে ওঠেনি। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ৪৭ রান! উইকেটের কলামও শূন্য। অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁকে আদৌ পরবর্তী ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হবে তো! কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সুযোগ দেওয়া হয়, আর সেখানেই প্রিন্স নামের প্রতি যেন সুবিচারও করেন।
কেরিয়ারের প্রথম আইপিএল উইকেট হিসেবে তুলে নেন বিধ্বংসী ট্রাভিস হেডকে। এখানেই শেষ নয়, তাঁর সৌজন্যে রান আউট সানরাইজার্সের আর এক বিধ্বংসী ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনও। এর চেয়েও স্বস্তির ব্যাপার, ৪ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ২৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে যা প্রশংসনীয়। এক ম্যাচের ব্যবধানেই এই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কৃতিত্ব প্রাপ্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর জাহির খানেরও। ভারতীয় ক্রিকেটে আপাতত প্রিন্সের নাম পরিচিত হয়ে উঠছে। তাঁর উত্থান কী ভাবে, সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক।
ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিভা প্রমাণের খুব একটা সুযোগ পাননি দিল্লির পেসার প্রিন্স। গত বছর শুরু হয়েছে দিল্লির ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। যা দিল্লি প্রিমিয়ার লিগ নামে পরিচিত। সেখানে ঋষভ পন্থের নেতৃত্বে খেলেছেন প্রিন্স। ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট। দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফিতেও খেলেছেন। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও সুযোগ পান।
আইপিএলের মেগা অকশনের ঠিক আগেই উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে দুই সেট ব্যাটার নীতীশ রানা এবং বিধ্বংসী সমীর রিজভির উইকেট নিয়েছিলেন। আর এতেই কপাল খোলে। আইপিএলের মেগা অকশনে তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকায় নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে প্রিন্স নামটা যে আরও পরিচিত হয়ে উঠবে, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না।





