Tea Garden Close: মে দিবসের দিনই কর্মহীন হাজার শ্রমিক

Banarhat: জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাওনাগন্ডাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো বিভিন্ন পাওনা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের ৩ পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া ছিল। যার জেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মরত শ্রমিকরা। এরপর

Tea Garden Close: মে দিবসের দিনই কর্মহীন হাজার শ্রমিক
জলপাইগুড়িতে বন্ধ চা বাগানImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2024 | 9:27 AM

বানারহাট: আজ মে দিবস। আর সেই দিনই কর্মহীন হলেন হাজার শ্রমিক। বন্ধ হয়ে আরও একটি চা বাগান। যারে জেরে রুজি-রোজগারের জন্য মাথায় হাত কর্মহীন শ্রমিকদের। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের তোতাপাড়া চা বাগানের।

জানা গিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই পাওনাগন্ডাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। পিএফ, গ্র্যাচুইটির মতো বিভিন্ন পাওনা বাকি ছিল। শুধু তাই নয়, শ্রমিকদের ৩ পাক্ষিক সপ্তাহের মজুরিও বকেয়া ছিল। যার জেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কর্মরত শ্রমিকরা। এরপর

২৭ এপ্রিল নিজেদের বকেয়া অর্থ বুঝতে চেয়ে শ্রমিকদের একাংশ বানারহাট থানায় গিয়ে অবস্থানে শামিল হন।বানারহাট বিডিও অফিসে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ডাকা হয়। তবে মালিকপক্ষের কেউ উপস্থিত না থাকায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। কিন্তু মালিকপক্ষের তরফে একটি চিঠি দিয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়, মঙ্গলবার বকেয়া মজুরির এক কিস্তির টাকা তাঁরা মিটিয়ে দেবেন। সেই টাকা গতকাল দিয়েও দেওয়া হয়।

কিন্তু তারপরই রাত্রিবেলা কর্মবিরতির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনকেও মালিক পক্ষ জানিয়ে দেয় নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা। বাগানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। এরপর আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে এসে দেখেন বাগানে ঝুলছে তালা। বাগানটির স্থায়ী শ্রমিক সংখ্যা বর্তমানে ৮৩০। এছাড়াও অস্থায়ী কর্মীও রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি তবারক আলি বলেন,”সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাগান বন্ধ করে দেওয়া হল। কাজ করিয়েও মজুরি দেওয়া হচ্ছিল না। নিজেদের হকের কথা জানাতেই শ্রমিকরা খারাপ হয়ে গেল। এমন মালিকপক্ষ আর যাই হোক কখনওপ্রকৃত শিল্পপতি নন। দ্রুত বাগান খোলার দাবি জানাচ্ছি।” চা শ্রমিক নেতা অজয় মাহালি বলেন, “কোন সমস্যা থাকলে মালিকপক্ষ তা আলোচনার মাধ্যমে মেটাতে পারতেন। সেটা না করে শ্রমিক দিবসের ঠিক আগের রাতে এভাবে বাগান বন্ধ করে চলে যাওয়ার ঘটনার ঘোর নিন্দা জানাই। হাজার শ্রমিক কর্মহীন।”