Malbazar: অল্প বৃষ্টিতেই স্কুলের সামনে জল থইথই, কবে মিটবে সমস্যা? অপেক্ষায় শিক্ষক-পড়ুয়ারা
Water Logged: মালবাজার ব্লকের অন্তর্গত কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুচাপুর বস্তি এলাকায় এই স্কুলটি। আশপাশের এলাকায় অনেক পড়ুয়াই এই স্কুলে পড়তে আসে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বরের এমন বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যা পড়তে হয় পড়ুয়াদের।
মালবাজার: সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায় স্কুলের সামনে। আর এর ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ছোট ছোট পড়ুয়া ও স্কুল শিক্ষকদের। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, গোটা স্কুল চত্বরই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রায় হাঁটু সমান জল জমে যায় স্কুলের সামনে, এমনই দাবি শিক্ষকদের একাংশের। আর সেই জল পেরিয়েই স্কুলে আসতে হয় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। ঘটনাটি বেঁতগুড়ি বিএফপি স্কুলের। মালবাজার ব্লকের অন্তর্গত কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপুচাপুর বস্তি এলাকায় এই স্কুলটি। আশপাশের এলাকায় অনেক পড়ুয়াই এই স্কুলে পড়তে আসে। কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বরের এমন বেহাল দশা হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যা পড়তে হয় পড়ুয়াদের।
ওই স্কুলের এক শিক্ষক অবশ্য এই গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করছেন খারাপ নিকাশি ব্যবস্থাকে। তাঁর বক্তব্য, নিকাশি ব্যবস্থার অভাবের কারণেই স্কুল চত্বরে জল জমে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বেঁতগুড়ি বিএফপি স্কুলের মাঠটিও আশপাশের এলাকার তুলনায় বেশ খানিকটা নীচু। অল্প বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বরে জল জমে যাওয়ার পিছনে এটাও একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। তবে ওই স্কুলের শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, স্বল্প বৃষ্টিতেই স্কুল চত্বর জলমগ্ন হয়ে থাকার এই বিষয়টি একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বেহাল দশার কথা জানানো হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। কিন্তু তারপরও এই জল জমার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।
শিক্ষকরা এখন চাইছেন, এই জল-যন্ত্রণার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কিছু একটা ব্যবস্থা করুক প্রশাসন। বিশেষ করে বর্ষার মরশুমে নানাবিধ সমস্যার মুখে পড়তে হয় পড়ুয়া ও শিক্ষকদের। শুধু যে জল পেরিয়ে স্কুল আসতে হয় তাই নয়, এর পাশাপাশি বেশি জল জমে গেলে সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত যাতে এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়, সেই আর্জিই জানাচ্ছেন ওই স্কুলের শিক্ষকরা।
প্রসঙ্গত এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল মালবাজারের বিডিও শুভজিৎ দাসগুপ্তের সঙ্গে। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।