TMC Leader Arrest: জেল হেফাজত শুনেই তৃণমূল নেতা হাসপাতালে, আদালতে যাচ্ছে বিজেপি
Jalpaiguri: গত ১৮ অক্টোবর জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালত সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রাতে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই রাতেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউয়ে ভর্তি করানো হয়।
জলপাইগুড়ি: পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। পুলিশ গ্রেফতার করলেও তৃণমূল নেতাকে জেলে না রেখে হাসপাতালের কেবিনে রেখেছে বলে অভিযোগ তাদের। যুব তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে পুলিশ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর অতিরিক্ত সুবিধা দিচ্ছে বলে রবিবার অভিযোগ তোলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সভাপতি বাপী গোস্বামী। এবার আদালতের কাছেই বিচার চাইতে যাবেন বলে জানান তিনি। তিনি জানান, এই দুই দফতরকে পার্টি করেই আদালতে যাবেন তাঁরা।
রবিবার বিকালে জলপাইগুড়িতে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাপী গোস্বামী। সেখানেই বাপী বলেন, জলপাইগুড়ির সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নামে। আদালতের নির্দেশে তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতও হয়েছে। অথচ জেলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এমন অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল?
বাপী গোস্বামীর দাবি, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। উনি যে অসুস্থ, স্বাস্থ্য দফতরের হেলথ বুলেটিনই বা কোথায়? এই বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা ওনার সুস্বাস্থ্যই কামনা করি। কিন্তু কেন উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ি কিংবা কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। সব দেখে তো কেমন ধোঁয়াশা লাগছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালত সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। রাতে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই রাতেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউয়ে ভর্তি করানো হয়। এরপর থেকে সেখানেই রয়েছেন এই তৃণমূল নেতা।