‘তিন চারটে বাচ্চা, স্বামী ঘরে, তবু আমার ছেলের সঙ্গে প্রেম করত! আজ ছেলেটাকে কুপিয়ে শেষ করে দিল…’
Jalpaiguri: অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দাবি তুলে প্রথমে ওই যুবকের চোখ খুবলে নেন। এরপরই হাত দু' টুকরো করে ফেলেন রাগে অগ্নিশর্মা স্বামী।
জলপাইগুড়ি: পড়শি যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এমনই সন্দেহ ছিল স্বামীর। অভিযোগ, সেই রাগে এক যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। আর এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওই মহিলার স্বামীর দিকে। অভিযোগ, হাত কেটে চোখ উপড়ে ওই যুবককে মারা হয়। জলপাইগুড়ির এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে এলাকায়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, সম্পর্কের টানাপোড়েনে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকার ঘটনা।
এক যুবক তাঁর স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন বলে অভিযোগ। পাড়ারই এক ছেলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে, এই দাবি তুলে প্রায়ই ঘরে অশান্তিও হত তাঁদের। ওই দম্পতি জামাইবাবুর বাড়িতে থাকতেন। এদিকে জামাইবাবুর বাড়ির পাশেই থাকতেন ওই ছেলেটিও। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘরে কেউ ছিল না। সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান যুবক। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্বামী। সঙ্গে ছিলেন জামাইবাবুও। অভিযোগ, এরপরই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। স্ত্রী ও ওই যুবককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও শুরু করেন ওই ব্যক্তি। এরই মধ্যে ওই যুবককে ঘরের ভিতর আটকে দেন অভিযুক্ত। এরপরই ধারাল অস্ত্র নিয়ে যুবকের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে দাবি তুলে প্রথমে ওই যুবকের চোখ খুবলে নেন। এরপরই হাত দু’ টুকরো করে ফেলেন রাগে অগ্নিশর্মা স্বামী। এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরাই ওই যুবককে উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই ওই মহিলার স্বামী ও জামাইবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় এক বাসিন্দা রমেশ সেনের কথায়, “ছেলেটির সঙ্গে অভিযুক্তের বউয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। শুনলাম আজ নাকি দুপুরে ওই মহিলার বাড়িতে যায়। এরপরই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।” অন্যদিকে দুলু বর্মন নামে অভিযুক্তের পরিবারের এক আত্মীয় বলেন, “এই ছেলেটির সঙ্গে আমাদের বাড়ির বউয়ের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়ির লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছিল। এরপরই ঘটে যায় খুনের ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। আমার শ্বশুর ও মামা শ্বশুরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।”
অন্যদিকে নিহত যুবকের মা বলেন, “আমার ছেলের সঙ্গে প্রেম করত ওই মহিলা। ঘরে তিন চারটে বাচ্চা আছে। স্বামী আছে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলেটাকে সবসময় ডাকে। এদিন দুপুরে ওই বাড়ি থেকে একজন এসে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ওরা আমার ছেলেকে আটকে ফেলে। ঘরে বন্দি করে ওরা আমার ছেলেকে কুপিয়ে খুন করেছে।” ঘটনায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, “সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছে। শুক্রবার আদালতে তোলা হবে।” আরও পড়ুন: ধ্বংসের মধ্যেই সৃষ্টি… আফগানি মায়ের কোল আলো করে এল ফুটফুটে চার সন্তান