Video of BJP MLA: মঞ্চে নীল-বেগুনি আলো, চড়া মিউজিক! নাচছেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক, রইল ভিডিয়ো
BJP: বিজেপি বিধায়কের দাবি, এসব রাজনীতির চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ময়নাগুড়ির ধরাইকুড়ি এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষে এক জলসার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জলসাতেই আমন্ত্রিত ছিলেন ময়নাগুড়ির বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায়। অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের নাচগানও হয়।
এরই মধ্যে মঞ্চে নানা আলোর চোখ ধাঁধানো ঝলকানি আর উচ্চস্বরে মিউজিক বাজতে শুরু করে। বিধায়কও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি বলেই স্থানীয়দের দাবি। এর পর নিজেই হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে উঠে পড়েন। কোমর-কাঁধ ঝাঁকিয়ে নাচতে শুরু করেন কৌশিক রায়ও। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় বিজেপি বিধায়কের ভিডিয়োটি। মঞ্চে ছিলেন কৌশিক রায়ের দুই উর্দিধারী নিরাপত্তারক্ষীও।
যা নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, এটা ময়নাগুড়ির সংস্কৃতি নয়। দু’জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে একজন বিধায়ক মঞ্চে যা করলেন তা কখনওই এলাকার সুষ্ঠু সংস্কৃতির বার্তা দেয় না বলেই দাবি করে তৃণমূল।
পাল্টা বিজেপির দাবি, এটা বিতর্ক হওয়ার মতো কোনও ভিডিয়োই নয়। এমন কোনও অঙ্গভঙ্গি কিংবা এমন কোনও পরিস্থিতি কৌশিক রায় মঞ্চে তৈরি করেননি যার জন্য এলাকার সংস্কৃতি নষ্ট হবে। একজন বিধায়ক নাচ-গান করলে তা নিয়ে এত আলোচনার কোনও অর্থই নেই।
বরং বিজেপির বক্তব্য, এর আগে কলেজ ফেস্ট থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তৃণমূলের একাধিক নেতা, বিধায়ককে যে অবস্থায় মঞ্চে দেখা গিয়েছে তা রাজ্যবাসীও দেখেছেন। তাই এসব বলে লাভ নেই।
যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ময়নাগুড়ির সেই বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রায় বলেন, “আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে একটা কালীপুজোর অনুষ্ঠান ছিল। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। বাচ্চাদেরও নাচ গান ছিল। আমাকে নিয়ে যা চলছে তা তো রাজনীতি। সব চক্রান্ত। কারণ, একটা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলে তো যেতেই হয়। আর এতে খারাপ তো কিছুই নেই।”
অন্যদিকে তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-১ ব্লক সভাপতি মনোজ রায়ের বক্তব্য, “শুক্রবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলাম চূড়াভাণ্ডারের ধরাইকুড়ির একটি কালীপুজো কমিটি দীপাবলি উপলক্ষে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে দুই কেন্দ্রীয় জওয়ানকে, বিধায়কের তাঁরা নিরাপত্তা রক্ষী! তাঁদের দাঁড় করিয়ে রেখে যে গান এবং নাচ বিধায়ক প্রদর্শন করলেন, যে সুর তিনি শোনালেন তা ময়নাগুড়ির লজ্জা। ময়নাগুড়ির সংস্কৃতি এটা নয়। এটা এখানকার সংস্কৃতিতে এটা চলে না। বিগত দিনে বিজেপির কর্মীরা যে অভিযোগ তুলেছিল, আমার তো মনে হয় সেটাই সত্যি। তা তিনি নিজেই প্রমাণ করলেন। আমি আশা করব আগামিদিনে প্রথম সারির একজন নেতা এমন কাজ আর করবেন না। বরং ময়নাগুড়ির সংস্কৃতিকে কী ভাবে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে চেষ্টাই করবেন।”