Liquor Shop: পাড়ার মাঝে মদের দোকান, গ্রামের মেয়ে-বউরাও ছাড়ার পাত্রী নন…

Jalpaiguri: রিঙ্কু রায় নামে এক এলাকাবাসীর কথায়, "আমরা রাতেও রাস্তায় বেরোই। এরকম দোকান পাড়ার মাঝে থাকলে আমাদের নিরাপত্তা কী? এখানে একটা স্কুল আছে। মদ তো দিনরাত সর্বক্ষণই বিক্রি হবে। পড়ুয়ারা কি দেখবে যে মদের বোতল নিয়ে রাস্তায় সব দাঁড়িয়ে? এসব চলবে না। গ্রসারি শপের নামে এসব কেন হবে।"

Liquor Shop: পাড়ার মাঝে মদের দোকান, গ্রামের মেয়ে-বউরাও ছাড়ার পাত্রী নন...
প্রতিবাদে সরব এলাকার লোকজন। যোগ দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাও। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2024 | 10:00 PM

জলপাইগুড়ি: আবগারি দফতরের লাইসেন্স রয়েছে। তবু এলাকার লোকজন পাড়ায় মদের দোকান চালাতে দিতে রাজি নন। শনিবার তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন এলাকার মেয়ে-বউরা। প্রমীলাবাহিনীর এই বিরোধিতায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই আপাতত দোকান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজগঞ্জে শোরগোল পড়ে যায়।

রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের চাকিয়াভিটা এলাকায় কয়েক মাস আগে একটি গ্রসারি কাম ভ্যারাইটি শপিং মল তৈরি হয়। চলতি মাসে সেখানেই সরকারিভাবে লাইসেন্স নিয়ে বিলিতি মদের দোকান খোলা হয় বলে খবর। এদিন দুপুরে মধ্য চাকিয়াভিটা নাগরিক কমিটির মহিলারা বিক্ষোভ দেখান।

এক আন্দোলনকারী সুপর্ণা রায় বলেন, “এটা গ্রসারি শপ, অথচ এখানে মদ বিক্রি করছে। এতে তো পাড়ার পরিবেশ নষ্ট হবে। এই যে ওরা এসব বিক্রি করছে, ছেলেদের ভিড় বাড়ছে দোকানে। বেশি করে মদ খাচ্ছে। সংসারে তো অশান্তি হবে। রাস্তায় আমরা বেরোতেও তো সমস্যায় পড়ব। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কোনও সাড়া পাইনি। তাই আমরাই পথে নেমেছি।”

এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে থাকা আমবাড়ি ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। এদিকে পুলিশ এলে তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়।

রিঙ্কু রায় নামে এক এলাকাবাসীর কথায়, “আমরা রাতেও রাস্তায় বেরোই। এরকম দোকান পাড়ার মাঝে থাকলে আমাদের নিরাপত্তা কী? এখানে একটা স্কুল আছে। মদ তো দিনরাত সর্বক্ষণই বিক্রি হবে। পড়ুয়ারা কি দেখবে যে মদের বোতল নিয়ে রাস্তায় সব দাঁড়িয়ে? এসব চলবে না। গ্রসারি শপের নামে এসব কেন হবে।”

এলাকায় এত হইচইয়ের খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তারাও আন্দোলনে সামিল হয়। মদের দোকান বন্ধের সমর্থনে সরব হন তাঁরাও। পরে পুলিশ আধিকারিক হিরুকান্তি সরকার মাইক্রোফোন হাতে তুলে নেন। তিনি বলেন, “আমি তো দোকান তালা লাগাতে পারি না। সে অধিকার তো আমার নেই। তবে এলাকার লোকের চাহিদা অনুযায়ী আমি বলব দোকানটা বন্ধ থাকবে। আমরা মালিককে ডেকে পাঠাব, এলাকার লোকজনকে ডাকা হবে। সেখানেই কথা হবে। কারণ তারা দোকানের কী পারমিশন পেয়েছে সেটাও দেখতে হবে।”