ভোটের খরচ তুলতে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি! অভিযুক্ত তৃণমূল

বিরোধীদের খোঁচা, এতদিন চাল, ত্রাণ চুরি করেছে শাসকদলের নেতারা। এখন সরকারি গাছও কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে!

ভোটের খরচ তুলতে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি! অভিযুক্ত তৃণমূল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2021 | 6:55 PM

জলপাইগুড়ি: একুশের ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) নির্বাচনী খরচের টাকা তুলতে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠল তৃণমূল বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল ধূপগুড়ির বারঘরিয়া এলাকায়। রাস্তার ধারের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল বুথ সভাপতি জিতেন্দ্র নাথ রায় এবং পঞ্চায়েত সদস্য ফেরদৌসী বেগমের স্বামীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারোঘরিয়া দাসপাড়া এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী দু’ দুটি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন। তার পরও আরও চারটি গাছ কেটে বিক্রি জন্য তোড়জোড় শুরু করেন তাঁরা। রবিবার দুপুরে রাস্তার পাশের চারটি গাছ কাটা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে বাধা দেব তারা। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। বিরোধীদের খোঁচা, এতদিন চাল, ত্রাণ চুরি করেছে শাসকদলের নেতারা। এখন সরকারি গাছও কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে!

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের জন্য বুথ খরচা ওঠাতেই সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। সরকারি অনুমতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমতো গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে অভিযুক্ত সভাপতির এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

এলাকার সিপিএম নেতা রাজকুমার রায়ের কটাক্ষ, “নির্বাচনের সময় মদ-মাংস খাওয়াতে প্রচুর খরচ করেছে তৃণমূল। সেই খরচের টাকা তুলতে এখন সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করছে। এর আগে তিনটি গাছ কেটে বিক্রি করেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, বন দফতরের অনুমতি ছাড়াই গাছগুলি কাটা হচ্ছিল। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: “শ্রীকৃষ্ণের নামে হাজার হাজার গাছ কাটা চলবে না”, উত্তর প্রদেশ সরকারকে কড়া ধমক সুপ্রিম কোর্টের

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমুল বুথ সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামিকে ফোন করা হলে তাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং বলেন, “এই বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে আমি সংবাদমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে দেখছি, তারপরে প্রতিক্রিয়া দেব।”