Moynaguri: মাটি কেটে চৌবাচ্চা বানিয়ে থাকে ওরা, সব শুনে পঞ্চায়েত প্রধান বললেন, ‘ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো’

Jalpaiguri: লক্ষ্মীমোহন রায়ের স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারে তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। শাশুড়িও থাকেন তাঁর সঙ্গেই।

Moynaguri: মাটি কেটে চৌবাচ্চা বানিয়ে থাকে ওরা, সব শুনে পঞ্চায়েত প্রধান বললেন, 'ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো'
এভাবেই থাকে পরিবার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2023 | 12:16 AM

জলপাইগুড়ি: দুর্যোগে বাড়ির যা অবস্থা সবসময় ভয় হয় মাথার উপর সবকিছু ভেঙে না পড়ে। অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। তাই  ঘরের পাশে মাটি খুঁড়ে বিশাল গর্ত করে সেখানেই বাস করছে আস্ত পরিবার। ময়নাগুড়ির (Moynaguri) আমগুড়ি এলাকার এই ছবি অবাক করার মতো। ওই পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে একাধিকবার গিয়েও পাওয়া যায়নি কোনও সাহায্য। তাই ঝড় বৃষ্টির এই মরসুমে নিজেদের জীবন বাঁচাতে ঘরের জায়গায় মাটি খুঁড়ে চৌবাচ্চা বানিয়েছে তারা। সেখানেই থাকছে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি অঞ্চলের চাঁপগড় এলাকার লক্ষ্মীমোহন রায়। পেশায় তিনি দিনমজুর।

লক্ষ্মীমোহন রায়ের স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। পরিবারে তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে। শাশুড়িও থাকেন তাঁর সঙ্গেই। লক্ষ্মীমোহন রায়ের শাশুড়ি শোভা রায় বলেন, “ভোটের সময় আমাদের খোঁজ পড়ে। অন্য সময় আমাদের খোঁজ নেওয়ার কোনও লোক নেই। এর আগে ঝড়ে আমাদের ঘরের টিন উড়ে গিয়েছে। ঘর ভেঙেছে। বহু কষ্ট করে আমরা ফের ঘর তৈরি করেছি। কিন্তু আবার দুর্যোগ হলে যে কোনও সময় বিপদ হতে পারে। সে কারণেই আমরা মাটি খুঁড়ে মাটির ভিতর থাকছি। খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে নাতি নাতনিদের নিয়ে এখানে রাত কাটাই। আমাদের শুধু একটাই দাবি, সরকারি একটি ঘর যেন আমরা পাই।”

এ প্রসঙ্গে আমগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, “লক্ষ্মীমোহন রায় একসময় আলিপুরদুয়ারে থাকতেন। কিছুদিন আগে এখানে এসেছেন। তাঁর এই পরিস্থিতির কথা আমরা দিদির সুরক্ষাকবচের পর থেকে জানতে পেরেছি। তাঁর বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে। একটি শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া হবে। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমরা নিজেদের উদ্যোগে একটি ঘর তৈরি করে দেবো। পাশাপাশি আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁদের বাড়িতে চাল, ডাল-সহ খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।”

এই এলাকায় পঞ্চায়েত তৃণমূলের হলেও ময়নাগুড়ি বিধানসভা বিজেপির দখলে। বিধায়ক কৌশিক রায়। পাশাপাশি জলপাইগুড়িও বিজেপির দখলেই। সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়। প্রশ্ন উঠছে, এমন একটা ঘটনা, অথচ সাংসদ-বিধায়ক অবধিও কি কোনওভাবে খবর পৌঁছল না? এলাকার বিজেপি কর্মীরা কোনও উদ্যোগ কি নিলেন না? এ প্রসঙ্গে বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি বুবাই কর বলেন, “এ তো গুহার ভিতর থাকার মতো। আবাস যোজনার ঘর পাননি প্রকৃত উপভোক্তারা। আমরা দেখেছি। এটা চলতে পারে না। আমাদের সাংসদ বিধায়ক তো সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। লোকাল বডি বলে একটা কথা আছে। আমাদের কাছে এই পরিবার এলে মানবিকতার খাতিরে আমরা বিষয়টি নিশ্চয়ই দেখতাম। আমাদের বললে আমরা নিজেদের মতো করে দেখতাম। তবু আপনারা বলেছে। আমরা যোগাযোগ করব। সামর্থ্যমতো সহযোগিতা করব।”