Chhat Puja: দশমীর বিপর্যয় থেকে শিক্ষা, মাল নদীতে ছটপুজোয় কড়াকড়ি প্রশাসনের
Mal Flash Flood: শিলিগুড়ির মহানন্দা, বালাসন, পঞ্চনই অথবা মালবাজারের মালনদী, জলপাইগুড়ির করলা, প্রত্যেক নদীতেই হড়পার আশঙ্কায় মালকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য সতর্ক স্থানীয় প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গ : মালবাজারের মাল নদীতে (Mal River) দশমীর বিসর্জনের দিন হড়পা বানে মারা যান আটজন। এরপরই ছটপুজো নিয়ে বিশেষ কড়াকড়ি। প্রথমে ঠিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়, মাল নদীতে ছট পুজো করতে দেওয়া হবে না। যদিও পরে স্থানীয়দের কথা চিন্তা করে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এবার মাল নদীঘাটে পুজো করতে হবে। মূল নদীতে নামার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নদী থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জলাশয় করা হয়েছে। সেখানেই পুজোর আচার পালিত হবে। মহাকাল পল্লি, মশলাপট্টি, খুদিরাম পল্লি ঘাটে ছট পুজো অনুষ্ঠিত হবে। ঘাটে ঘাটে থাকবে কড়া পুলিশি পাহারা, থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও।
শিলিগুড়ির মহানন্দা, বালাসন, পঞ্চনই অথবা মালবাজারের মালনদী, জলপাইগুড়ির করলা, প্রত্যেক নদীতেই হড়পার আশঙ্কায় মালকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য সতর্ক স্থানীয় প্রশাসন। শিলিগুড়িতে পুলিশের নজরদারিতে ছটঘাট তৈরি করা হচ্ছে। নদীর গতি আটকে ঘাট তৈরী করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ছাড়াও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা হচ্ছে একাধিক ঘাটে। থাকছে বাঁশের ব্যারিকেড। দুর্ঘটনা মোকাবিলায় যাবতীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত থাকবে ঘাটেই। শিলিগুড়ির ঘাটগুলি একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন মেয়র গৌতম দেব।
অন্যদিকে মালবাজারের ঘটনা এবং রায়গঞ্জের কার্নিভালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ছট পুজোয় বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারিতে জোর রায়গঞ্জ প্রশাসনের। রায়গঞ্জে কুলিক নদীর ঘাটগুলি পরিদর্শন করেন রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক ও পুরপ্রশাসন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই রায়গঞ্জেও কুলিক নদীর ঘাটগুলিতে ছটের মহা সমারোহে শামিল হন পুণ্যার্থীরা। নদীর জলে নেমে দু’বেলা হয় পুজো। তবে এবার কুলিক নদীর জল অনেকটাই বেশি। তাই দশমীতে মাল বাজারের ঘটনার পর ঘাটে ঘাটে বাড়তি নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
শনিবার রায়গঞ্জের খরমুজাঘাট ও বন্দর শ্মশান ঘাট-সহ কাঞ্চনপল্লি, আব্দুলঘাটা, সুভাষগঞ্জ ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক। সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জ পুরসভার বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য সাধন বর্মন-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ছটের ঘাটগুলিতে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি আচমকা নদীতে জল বেড়ে গেলে কোনও বিপদ যাতে মোকাবিলা করা যায় তার জন্য সিভিল ডিফেন্স ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৎপর থাকবে বলে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক।