Moynaguri: পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ‘রঙিন আসর’? ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রামের লোকেরা
Jalpaiguri News: এই ঘটনায় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়ার কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি জানান, এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
জলপাইগুড়ি: গ্রামপঞ্চায়েত অফিসের সামনে থেকে মদের বোতল উদ্ধারের অভিযোগ। পঞ্চায়েত অফিসের চত্বরের ভিতর রঙিন আসর বসার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হলেন এলাকার লোকজন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে ময়নাগুড়ির (Moynaguri) রামসাই গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে যান এলাকার লোকজন। অভিযোগ, সেই সময়ই বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন পঞ্চায়েত অফিসের সামনের জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি বিলিতি মদের ফাঁকা বোতল উদ্ধার করেন বলে অভিযোগ। এরপরই সেগুলি এক জায়গায় সাজিয়ে প্রতিবাদে সরব হন এলাকার লোকজন। তাঁদের দাবি, নানা রঙের বোতলেন পানীয় নিয়ে এখানে আসর বসে। অথচ মানুষকে পরিষেবা পেতে গেলে কাঠখড় পোড়াতে হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
একেই আবাসের তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভ ছিল গ্রামবাসীদের। তার উপরে মদের বোতল উদ্ধার হওয়ায় যেন আগুনে ঘৃতাহুতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অনেকে সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে সে দৃশ্য। এলাকারই বাসিন্দা অভিজিৎ রায়। তিনি অভিযোগ করেন, “আমরা যোগ্য। অথচ তারপরও আবাস যোজনার তালিকা থেকে আমাদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা গণডেপুটেশন দিতে এসে এসব দেখছি। দুর্নীতির উপর দুর্নীতি। আবার এসবও। কে এসব খায় আমরা জানি না, তবে অফিস চত্বরে এগুলো পেলাম। প্রশাসনিক ভবনের সামনে এভাবে মদের বোতল পড়ে থাকলে ভাল বার্তা যায় কি?”
এই ঘটনায় প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়ার কাছে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে তিনি জানান, এ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। সংবাদমাধ্যমের কাছেই প্রথম বিষয়টি জানলেন। একইসঙ্গে বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে মানুষ যান কাজের জন্য। মদের বোতল কীভাবে সেখানে পাওয়া গেল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। নিশ্চয়ই এর তদন্ত হবে।