Weather Update: চার দিন ঝড়বৃষ্টি দাপট দেখাবে দক্ষিণবঙ্গে, বিপুল ফসল নষ্টের আশঙ্কা

Rain Forecast in Bengal: পড়শি রাজ্যগুলিতে বিস্তৃত থাকা শক্তিশালী অক্ষরেখার জেরেই বঙ্গে আকাশে মেঘের ঘনঘটা। এই অক্ষরেখার জেরে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। সেই সঙ্গে বইবে দমকা বাতাস। ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।

Weather Update: চার দিন ঝড়বৃষ্টি দাপট দেখাবে দক্ষিণবঙ্গে, বিপুল ফসল নষ্টের আশঙ্কা
ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে। প্রতীকী ছবি।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2024 | 12:33 PM

কলকাতা: সোমের সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আকাশের মুখ ভার। সকাল থেকে রোদের তো দেখা নেই, উল্টে আকাশ ঢেকেছে মেঘে। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়শি রাজ্যগুলিতে বিস্তৃত থাকা শক্তিশালী অক্ষরেখার জেরেই বঙ্গে আকাশে মেঘের ঘনঘটা। এই অক্ষরেখার জেরে আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতে। সেই সঙ্গে বইবে দমকা বাতাস। ৫০-৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের সতর্কতা।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার এই বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা হাওয়া অফিসের। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ৫০-৬০ কিমি প্রতি ঘণ্ট বেগে বইবে হাওয়া। বাঁখুড়া, পশ্চিমমেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

অক্ষরেখার জেরে এই বৃষ্টি বুধ এবং বৃহস্পতিবারেও বজায় থাকবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার এবং বুধবারের জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোম এবং বৃহস্পতিবার হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে।

অসময়ে এই বৃষ্টির জেরে ফসলের প্রভূত ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে অস্থায়ী স্ট্রাকচার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।