AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Local Train: প্রথমদিনই বাদুড়ঝোলা ভিড়ে পিষ্ট লোকাল! বিধিনিষেধের বেড়াজালে ফের খাবে না তো সিগন্যাল?

Local Train: যাত্রীরা বিধিনিষেধ মানছেন কিনা তা দেখার দায়িত্ব রয়েছে আরপিএফ ও জিআরপি-র ওপর। যদিও রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য, কোভিড সুরক্ষা বিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে যাত্রীদেরই।

Local Train: প্রথমদিনই বাদুড়ঝোলা ভিড়ে পিষ্ট লোকাল! বিধিনিষেধের বেড়াজালে ফের খাবে না তো সিগন্যাল?
দুশ্চিন্তা বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 12:31 PM
Share

TV9 ব্যুরো: রাজ্যে গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। করোনা আবহে বিধিনিষেধের ফাঁসে দীর্ঘদিন আটকে ছিল লোকাল ট্রেনের চাকা। শুক্রবার নতুন নির্দেশিকায় ছাড়পত্র মেলে। আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেলের টাইম টেবিল মেনেই চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। স্টেশনে স্টেশনে রয়েছে কোভিড বিধি নিয়ে সতর্কতামূলক মাইকিং-এর ব্যবস্থা।

যাত্রীরা বিধিনিষেধ মানছেন কিনা তা দেখার দায়িত্ব রয়েছে আরপিএফ ও জিআরপি-র ওপর। যদিও রেলের আধিকারিকদের বক্তব্য, কোভিড সুরক্ষা বিধি মানার দায়িত্ব নিতে হবে যাত্রীদেরই। ট্রেনের কামরায় দূরত্ব বিধি মানার দায়িত্বও যাত্রীদের। তবে সেই দায়িত্ব কি আদৌ পালন করবে যাত্রীরা? লোকালে মানা যাবে কোভিড বিধি? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আজ, রবিবার এমনিতেই লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কম। কিন্তু তাতেই বাদুড়ঝোলা ভিড়ের ছবি ধরা পড়ল একাধিক স্টেশনে। রবিবার ছুটির দিনেও ডাউন বনগাঁ লোকাল ঢুকতেই দেখা গেল বাদুড়ঝোলা ভিড়। হাসনাবাদ লোকালেও ধরা পড়ে একই ছবি।

সেই চেনা ছবি ধরা পড়ে হাওড়া স্টেশনেও। ট্রেন ধরতে হুড়োহুড়ি! ছুটে ট্রেন ধরতে দেখা গেল যাত্রীদের। কিন্তু ঘুরছে যাত্রীদের মুখেই। কীভাবে সম্ভব রাজ্যের নির্দেশ কার্যকরী করা? এত ভিড়ে কোথায় মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি? কোভিড বিধি মানতে যাত্রীদের আর্জি জানিয়েছে রেল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ট্রেনে না ওঠার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন যাত্রীদের, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেনই বা লোকে ট্রেনে উঠবেন? ট্রেন ধরে তো মানুষে নিত্য কাজেই যান। এতদিন ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেকেই গাড়িতে কাজে গিয়েছেন, তাতে খরচ হয়েছে অনেক বেশি। খরচ কমাতে তাই এবার ট্রেনই ভরসা।’

কিন্তু লোকাল ট্রেনে যে বিধিনিষেধও সেভাবে আর মানা হবে না, তাও ভালোই বুঝতে পারছেন যাত্রীরা। এক যাত্রী বললেন, “আগেও দেখেছি স্টাফ স্পেশ্যাল যেটা চলেছে, তাতেও মারাত্মক ভিড় হয়েছে। কোথায় নিয়ম মানা হয়েছে। আর সেভাবে ট্রেনে নিয়ম মানাও কখনও সম্ভব নয়। গায়ে গায়ে লোক ঠেকে ঠেকে যাচ্ছে। আজ ছুটি, কাল থেকে আবার একই ছবি দেখা যাচ্ছে।”

আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করেছে সরকার। যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরপিএফ, জিআরপি-কে। কিন্তু প্রথম দিন, রবিবারের চিত্রটাই বলল অন্য কথা। হাওড়া হোক কিংবা শিয়ালদা- ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই চেনা ছন্দে গা ভাসিয়েছেন যাত্রীরা।

তবে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় খুশি নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত যাত্রীরা। এতদিন কর্মস্থলে যেতে দিনের রোজগারের প্রায় অর্ধেকটাই বেরিয়ে যেত অনেকের। তাঁরা এবার খুশি। এক জনের কথায়, “লকডাউনের বাজার। যা আয় হচ্ছিল, তার হাফ বেরতো যাতায়াতেই। কিন্তু কীই বার করা যাবে। ট্রেনই আমাদের একমাত্র ভরসা।” খুশি হকাররাও। এতদিনে আবার দুটো রোজগার করে ঘরে নিয়ে যেতে পারবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: উঠত-বসতে হত কথা মেনে, ১৫ বছরের দাম্পত্যে স্ত্রীই ছড়ি ঘোরাতেন, বাড়ছিল অবসাদ! খুনের আসল কারণ এটাই