অ্যাম্বুলেন্সের টাকা দিতে না পারায় বিষপান করা ব্যক্তিকে ফেলে রাখার অভিযোগ, কাঠগড়ায় সরকারি হাসপাতাল
রোগীর (Patient party) আত্মীয়দের দাবি, এভাবে রাস্তায় রোগী পড়ে থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
মালদহ: সরকারি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক রোগীকে ফেলে রেখে দেওয়ার অভিযোগ। মোটা টাকা নিয়ে তবেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, এর জেরে রোগী এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
মালদহের বুলবুলচণ্ডী এলাকা। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন পরবর্তী সময়ে আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিক সরেন হাঁসদার। নিয়মিত খাবারও জুটত না বলে অভিযোগ। এরপরই অবসাদে বিষ পান করেন সরেন। দ্রুত তাঁকে বুলবুলচণ্ডীর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করার কথা বলা হয়।
আর সেখানে পাঠাতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য টাকাও চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিকে হাতে এমনিই টাকা পয়সা নেই সরেনের পরিবারের। অ্যাম্বুলেন্সের টাকা কোথা থেকে জোগাড় হবে তা ভেবে কপালে হাত পড়ে যায়। অভিযোগ, টাকা না দিতে পারায় হাসপাতালের বাইরে রোদে ফেলে রাখা হয় সরেনকে।
আরও পড়ুন: ‘রাত হলেই মদ খাচ্ছে আর এ ধরনের অসভ্যতা করছে’
ক্রমশ শারীরিক পরিস্থিতি তাঁর আরও খারাপ হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে থাকা এক ব্যক্তি মানবিকতার খাতিরে টাকা দিয়ে সরেনকে মালদহ মেডিক্যালে পাঠান। এদিকে এতটা সময় কেটে যাওয়ায় সরেনের শরীরে বিষ আরও ছড়িয়ে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আপাতত মেডিক্যালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কেন টাকা লাগছে। ঘটনার খবর পেয়েই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।