ভোট আবহে উদ্ধার কার্তুজ-সহ বিপুল অস্ত্র, গ্রেফতার ৫
অভিযুক্ত আনারুল হক, মহবুল হক, আরজাউল হক চাঁচলের জানিপুর, বলরামপুর ও রামপুরের বাসিন্দা। বাকি দুজন আকমল শেখ ও আমিরুল হরিশ্চন্দ্রপুরের হড়কাবাথানে থাকে।
মালদা: সদ্যই প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। মালাদায় নির্বাচন সপ্তম ও অষ্টম দফায়। তার আগেই হরিশচন্দ্রপুরের শীশাতলায় জলের ট্যাঙ্কের পাশ থেকে উদ্ধার হল সেভেন এমএম পিস্তল, কার্তুজ-সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র। আর এই ঘটনায় মালদা (Malda) জুড়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রামের জল ট্যাঙ্কের পাশে অস্ত্র (Arms) মজুত করছিল দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। অস্ত্র-সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত আনারুল হক, মহবুল হক, আরজাউল হক চাঁচলের জানিপুর, বলরামপুর ও রামপুরের বাসিন্দা। বাকি দুজন আকমল শেখ ও আমিরুল হরিশ্চন্দ্রপুরের হড়কাবাথানে থাকে। এই গোটা দলটিই বিহারের বলে সন্দেহ পুলিশের। এমনকী তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান এর পেছনে কোনও বড় চক্র থাকতে পারে এমনকী রাজনৈতিক সংযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে উত্তরোত্তর বাড়ছে দুর্নীতি, ধর্ষণ, সন্ত্রাস। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেই চেষ্টাই করছে শাসক শিবির। যদিও, বিজেপি নেতৃত্বের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা তৃণমূলের (TMC) দাবি, বিহার থেকে লোক এনে সন্ত্রাস ছড়াতে চাইছে বিজেপি। প্রশাসন সচেতন বলেই দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা গিয়েছে।
বঙ্গ ভোটে এ বার প্রথম থেকেই কড়া কমিশন। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য কড়া পদক্ষেপ করতেও পিছপা হবে না কমিশন। তারপরেও কীভাবে এইভাবে বেআইনি অস্ত্র মজুত করা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
আরও পড়ুন: ভোটের সন্ধ্যায় ‘হামলা’, মেরে বিজেপি নেতার হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ