Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Malda Muder: ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক কী ঘটেছিল আসিফের বাড়িতে? ঘটনার ‘পুনর্নিমাণে’ পুলিশ

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে মালদার বাড়িতে আনা হয়েছে প্লাইউডের বোর্ড, পাঁচটি কুশ পুতুল।

Malda Muder: ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক কী ঘটেছিল আসিফের বাড়িতে? ঘটনার 'পুনর্নিমাণে' পুলিশ
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 22, 2021 | 5:13 PM

মালদা: কালিয়াচক কাণ্ডে নয়া মোড়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মা-বাবা-বোন-ঠাকুমাকে খুন করে নিজের বাড়ির গুদামেই মাটিতে পুঁতে দেয় ধৃত ১৮ বছরের যুবক আসিফ মহম্মদ। গত শুক্রবার দাদা আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে আসিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা দেখেন শুধু খুন নয়, একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত আসিফ। এ বার, আসিফ-আরিফকে পুলিশি ঘেরাটোপেই ষোলমাইলের বাড়িতে ফেরত আনা হচ্ছে। তদন্তের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পুনর্নিমাণ করতেই এই পদক্ষেপ বলছেন গোয়েন্দারা।

তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ক্রমাগত জেরায় আসিফ-আরিফের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো সন্দেহ তৈরি হয়েছে। চারমাস আগে নিজের পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে আসিফ। তাহলে, কেন চারমাস পর ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে আরিফ তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছেন গোয়েন্দারা। জেরায় আরিফ জানিয়েছে ভাইয়ের হুমকি আর ‘ব্ল্য়াকমেইল’-এর জেরে ভয়ে পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি সে। মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক কী হয়েছিল তা পুনর্নিমাণ করতে ষোলমাইলের বাড়িতে প্রস্তুতি শুরু করলেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে মালদার বাড়িতে আনা হয়েছে প্লাইউডের বোর্ড, পাঁচটি কুশ পুতুল। আসিফ জেরায় জানিয়েছিল, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নিজের মা, বাবা, বোন, দাদা আর ঠাকুমাকে কোল্ডড্রিংঙ্কসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। ওষুধের প্রভাবে তাঁরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁদের ওই গোপন সুড়ঙ্গপথে গুদামে নিয়ে আসে আসিফ। সেখানে একটি জলের চৌবাচ্চা বানিয়ে সেইখানে পাঁচজনের দেহ চুবিয়ে রাখা হয়। তখনই কোনওরকমে জ্ঞান ফিরে পায় আরিফ। ভাইয়ের সঙ্গে হাতাহাতি করে পালিয়ে যায় আরিফ। দাদাকে মারতে না পারলেও পরিবারের বাকি সদস্যদের ওইভাবেই জলে চুবিয়ে রাখার পর সিমেন্ট বালি চাপা দিয়ে মাটিতেই প্রায় জ্যান্ত কবর দেয় আসিফ।

আসিফের বয়ান মাথায় রেখেই ঘটনার পুনর্নিমাণ করতে প্লাইউডের বোর্ড দিয়ে অস্থায়ী ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। আনা হয়েছে পাঁচটি কুশ পুতুল। তদন্তকারীদের দাবি, অনেক সময়, অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীর বয়ানে কোনও অসঙ্গতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই পুনর্নিমাণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আসিফ বিভিন্নভাবে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। সেইজন্য়েই এই পন্থা নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় আরিফের ভূমিকা কী ছিল তা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের তরফে এই গোটা তদন্তপ্রক্রিয়ায় গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Malda Murder: আসিফের বাড়িতে গুদাম তৈরি করেছিলেন ৪ মিস্ত্রী, সম্প্রতি ‘নিখোঁজ’ তাঁরা!