নির্মম! আগুনে স্টিলের চামচ গরম করে ৯ বছরের কিশোরীকে ‘ছ্যাঁকা’ দিলেন নিজের কাকিমা
Malda: আহত কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিন আগে ওই কিশোরী সন্ধ্যে দিয়ে নামছিল। সেই সময় অভিযুক্ত মহিলার মেয়ের গায়ে ছ্যাঁকা লেগে যায়। আর তার জেরে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, নয় বছরের ওই কন্যাকে চামচ গরম করে গোটা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তারই কাকিমার বিরুদ্ধে।
মালদহ: বর্বরতা ঠিক কতটা মাত্রা ছাড়ালে এমন শিউরে ওঠার মতো ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়। অভিযোগ, নিজের কাকিমা চামচ আগুনে গরম করে ছ্যাঁকা দিল ন’বছরের কিশোরীর শরীরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই সে। ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি কিশোরীর পরিবারের।
আহত কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিন আগে ওই কিশোরী সন্ধ্যে দিয়ে নামছিল। সেই সময় অভিযুক্ত মহিলার মেয়ের গায়ে ছ্যাঁকা লেগে যায়। আর তার জেরে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, নয় বছরের ওই কন্যাকে চামচ গরম করে গোটা শরীরে ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তারই কাকিমার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। কিশোরীর মা আদুরী সাহা বলেন, “আমার মেয়ে সন্ধ্যে দিয়ে নিচে নামছিল। সেই সময় ওর মেয়ের গায়ে ধুপকাঠীর ছ্যাঁকা লাগে। সঙ্গে সঙ্গে চামচ গরম করে আমার মেয়েকে ছ্যাঁকা দেয়। আমি বাধা দিতে গেলে আমায়ও হেনস্থা করে।”
তাদের অভিযোগ এইরকম নৃশংস ঘটনা তারা দেখেননি। তাদের ছেলেমেয়েরাও খেলা করে পাড়ায়। তাই বলে পুড়িয়ে দেবে, তারা এটা মানতে পারছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা মাম্পি দাস বলেন, “আজ রাস্তায় যদি বাচ্চার সঙ্গে খেলে। তাদের সঙ্গে যদি ঝামেলা হয় তখন পুড়িয়ে দেবে? আজ নিজের জা-এর ছেলে মেয়েকে যদি এমন করতে পারে তারপর ও তো মা কীভাবে করতে পারে এমন। পাড়াতে রাখা যাবে না।”
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আসরে নেমেছে রাজনৈতিক মহলও। নারী এবং শিশু নির্যাতনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে অত্যাধিক বেড়েছে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না দাবি বিজেপির। মালদা কেন্দ্রের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, “নারী ও শিশুদের উপর এই ধরনের ঘটনা এ রাজ্যে ক্রামাগত বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী এতবার বলার পরও থানা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ যে কতটা নিষ্কৃয় তা এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করছে।”
অমানবিক ঘটনা। পরিবারের সদস্যদের বলব শিশু সুরক্ষা কমিটিতে গিয়ে একটা লিখিত করতে। দাবি তৃণমূলের। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “প্রতিটি থানার মেজবাবু চাইল্ড অফিসার। যে থানা বিষয়টি দেখছে না তাদের তদন্ত করা উচিৎ। আমার ওই পরিবারের কাছে আবেদন সত্য চৌধুরী ইন্ডোর স্টেডিয়াম চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি বলে সরকারের বিবিধ সংস্থা আছে। সেখানে চার পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট বসেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযোগ দায়ের করা।