Migrant Workers: ভোট শেষ হতেই ব্যাগ গুছিয়ে ‘বিদেশ’ পাড়ি মালদহের পুরুষদের, ট্রেনের ভিড়ে উঠছে প্রশ্ন

Migrant Workers: শুধু ট্রেনের ভিড় নয়, ভোটের হারও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। যেমন ধরা যাক, মালদহ দক্ষিণে মহিলাদের ভোটদানে হার যখন ৮২.১৫ শতাংশ, পুরুষের ভোটদানের হার সেখানে ৭১.২২ শতাংশ। কোথাও কোথাও সেই ফারাকটা আরও বেশি।

Migrant Workers: ভোট শেষ হতেই ব্যাগ গুছিয়ে 'বিদেশ' পাড়ি মালদহের পুরুষদের, ট্রেনের ভিড়ে উঠছে প্রশ্ন
ট্রেনে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2024 | 1:33 PM

মালদহ: ভোট শেষ। ছুটিও শেষ। বাড়ি এখানে, পরিবার এখানে, কিন্তু সব ছেড়ে যেতে হচ্ছে ‘বিদেশে’। এরা পরিযায়ী শ্রমিক, এদের ‘বিদেশ’-এর নাম বেঙ্গালুরু। ভোট দিতে রাজ্যে ফিরেছিলেন তাঁরা, আর ভোট শেষ হতেই ব্যাগ গুছিয়ে উঠে পড়লেন ট্রেনে। ‘অমৃত ভারত’ এক্সপ্রেসের ছবিটা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে বাংলায় কাজ নেই। তাই ট্রেন ধরে পাড়ি দিতে হচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘বাংলাই ডেস্টিনেশন। এখানে ফিরে এসে কাজ করুন।’ কিন্তু ওই ট্রেনের যাত্রীরা তো সে  কথা বলছেন না?

যাত্রীদের প্রশ্ন করা হলে একজন বলেন, ‘সবাই তো চলে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরাও চলে যাচ্ছি বিদেশে (দক্ষিণ ভারত)। আর এক শ্রমিক বললেন, এখানে তো কোনও কাজই নেই। টাকা পয়সাও নেই। কী করব!’ লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় ভোট হয়েছে মালদহে। তারপর দলে দলে তাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন দক্ষিণে। এরকম একটি নয়, একাধিক ট্রেন রয়েছে, যার যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশ্ন হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার তাঁদের বাংলায় ফেরার আহ্বান জানালেও তাঁরা ফিরবেন কীসের জন্য? কী কাজ আছে বাংলায়? এভাবেই কি দক্ষ শ্রমিকদের হারাচ্ছে বাংলা?

মালদহ উত্তরের বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘বাংলা কর্মবিমুখ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। কোনও কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে শ্রমিকরা চলে যাচ্ছেন।’ মালদহের তৃণমূলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি কেন্দ্রের ওপর দায় চাপালেও রাজ্যে যে কাজ নেই সে কথা এক অর্থে মেনেই নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘মোদী বলেছিলেন বছরে ২ কোটি চাকরি দেবেন। সেটা হয়নি। তাই বাংলাতেও কাজ নেই।’

শুধু ট্রেনের ভিড় নয়, ভোটের হারও প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। যেমন ধরা যাক, মালদহ দক্ষিণে মহিলাদের ভোটদানে হার যখন ৮২.১৫ শতাংশ, পুরুষের ভোটদানের হার সেখানে ৭১.২২ শতাংশ। মালদহ উত্তরে মহিলাদের ভোটদানের হার ৮১.০১ শতাংশ আর পুরুষের ভোটদানের হার ৭১.২২ শতাংশ। ফারাকটা আরও বেশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। সেখানে ৮২.৭৫ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন, আর পুরুষের ভোটদানের হার ৬৮.৯১ শতাংশ। শাসক দল বলছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া ভোটাররা উৎসাহে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, এটাই কি শুধুমাত্র কারণ? নাকি পুরুষেরা গ্রামে নেই, তাই এমন তফাৎ?