‘কাটমানি’ দিয়েও আসেনি রূপশ্রীর টাকা, দুয়ারে সরকার আসতেই অভিযোগ দায়ের
Duare Sarkar: মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রাঙ্গাইপুরের বাসিন্দা রুকসানা খাতুন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিয়ে হয় রুকসানার। সেই সময়েই রূপশ্রীর জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আবেদনের সময়েই দিতে হয়েছিল ৩ হাজার টাকা।
মালদহ: বিয়ের সময় রূপশ্রীর আবেদন করেছিলেন। ৩ হাজারের কাটমানিও দিতে হয়েছিল। বিয়ের পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর। কিন্তু, আজও মেলেনি টাকা। প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি কিছুতেই। এরইমধ্যে ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারের সরকারের শিবির। সেখানে জমা পড়েছে অভিযোগ। ঘটনা মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের। এদিকে এই মালদহতে এসেই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, “কাউকে টাকা দেবেন না। এটা সরকারি পরিষেবা।” কিন্তু তারপরেও অবস্থার বদল কোথায়? প্রশ্ন তুলে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রাঙ্গাইপুরের বাসিন্দা রুকসানা খাতুন। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিয়ে হয় রুকসানার। সেই সময়েই রূপশ্রীর জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আবেদনের সময়েই দিতে হয়েছিল ৩ হাজার টাকা। কিন্তু, তারপরেও বাতিল হয়ে গিয়েছিল তাঁদের আবেদন। আসেনি টাকা। অবস্থা বেগতিক দেখে বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চক্কর কাটতে থাকেন রুকসানার মা নূরেশা বিবি। তাঁর দাবি, প্রতিশ্রুতি মিললেও মেলেনি টাকা।
এদিকে এরইমধ্যে এলাকায় শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সেখানেই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রুকসনার মা। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সক্রিয় রয়েছে দালাল চক্র। তাঁদের কারণেই বঞ্চিত হচ্ছেন যোগ্য প্রাপকরা। কিন্তু, কাদের মদতে চলছে এই কাজ? প্রশ্ন ঘিরেই তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।