Maldah: খেতে খেতেই ফোন ধরেছিলেন, আর সেটাই হয়ে গেল ভুল! এক নিমেষে নিঃস্ব পুরোহিত পরিবার
Maldah: বাড়ির লোকেদের বক্তব্য, বেলা দুটো নাগাদ খেতে বসেছিলেন তিনি। খাওয়ার সময় কল রিসিভ করতে গিয়ে খাবার গলায় আটকে যায় তাঁর। বাড়ির লোকেরা তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যান স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে।
মালদহ: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে মৃতদেহ আটকে রেখে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। রতুয়া-১ ব্লকের সামসি গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। অভিযোগ, সামসি দেশবন্ধু পাড়ার এক যুবককে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, ভালোভাবে চিকিৎসা না করেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মৃত যুবকের নাম উৎপল চক্রবর্তী। বয়স একচল্লিশ বছর। তিনি পেশায় পুরোহিত।
বাড়ির লোকেদের বক্তব্য, বেলা দুটো নাগাদ খেতে বসেছিলেন তিনি। খাওয়ার সময় কল রিসিভ করতে গিয়ে খাবার গলায় আটকে যায় তাঁর। বাড়ির লোকেরা তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যান স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে। তাঁর ইসিজি করানো হয়। অভিযোগ ইসিজি রিপোর্ট দেখেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা সরকার।
বাড়ির লোকেদের দাবি, মৃত ঘোষণা করে দেওয়ার পরও স্ট্রেচারে তিনি একটু নড়ে উঠেন। তাদের বক্তব্য, এ সময় পুনরায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে অন্যত্র উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে ডাকা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রতুয়া-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রাকেশ কুমার। তিনিও ওই রুগীকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। এর ফলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, যত্ন সহকারে চিকিৎসা করা হলে তাকে হয়তো বাঁচানো যেত।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে শত শত মানুষ হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে দেয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্লকের বিডিও রাকেশ টপ্পো। বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে ধরে অভিযোগ জানান। এমনকি সামসি অঞ্চলের প্রধান মনীষা দাসও অভিযোগ করেন, পেট ব্যথা নিয়ে তিনি ভর্তি হলে তাকেও ‘এটেন্ড’ করেনি কোন চিকিৎসক। সকলের বক্তব্য শোনার পরে বিডিও রাকেশ টপ্পো বাসিন্দাদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।