India-Bangladesh: জঙ্গিদের ‘টার্গেটে’ বাংলার এই স্কুল,কাটারি হাতে তৈরি ভারতীয়রাও
India-Bangladesh Border: এখানেই শেষ নয়, দুষ্কৃতীরা এসে গরু নিয়ে যায়। লুঠ করে। সীমান্তে যে আমগাছ রয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়ুয়ারা এখন ভাবছে তাঁরা আদৌ স্কুলে যাবে কি না। কারণ, সকলেই ব্যস্ত এই গ্রাম সামলাতে। নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।
শুকদেবপুর (মালদহ): ‘অত্যাচার’ যেন থামছে না। বর্ডারে নেই কোনও কাঁটাতার। আর সেইটাই সুবিধা যেন বাংলাদেশিদের। চুপি-চুপি একবার এই পাড়ে (ভারত)ঢুকে পড়তে পারলেই কেল্লাফতে। তারপরই টার্গেট হয় এই স্কুল। কার্যত ‘হামলা’ চালায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। আতঙ্কে থাকে পড়ুয়া থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
মালদহের শুকদেবপুর উচ্চ-বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে, এমনকী খোলা জানালা থেকে দেখা যায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। যেখানে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনও কাঁটাতার। এই স্কুলেরই পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই আতঙ্কিত। কারণ,নিয়মিত ওইপাড় থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এখানে এসে টার্গেট করে স্কুলটিকে। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রায় ছ’জন এসে এই স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এরপর গ্রামবাসী থেকে বিএসএফ তাদের তাড়া করে। কোনওক্রমে ভাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসীর এও দাবি, ওই ছ’জন আবার জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
এখানেই শেষ নয়, দুষ্কৃতীরা এসে গরু নিয়ে যায়। লুঠ করে। সীমান্তে যে আমগাছ রয়েছে তা নিয়ে চলে যায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুল চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়ুয়ারা এখন ভাবছে তাঁরা আদৌ স্কুলে যাবে কি না। কারণ, সকলেই ব্যস্ত এই গ্রাম সামলাতে। নিজেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে।
এক গ্রামবাসী বলেন, “আজই জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন এখানে এসেছে। আমরা আর বিএসএফ একসঙ্গে মিলে তাড়িয়েছি। বিজিপি ওদের ঢোকাচ্ছে। জাল টাকা নিয়ে আসছে।” আরও এক গ্রামবাসী বলেন, “ওরা এখানে এসে লুঠপাট করছে। সেই কারণে ভয়ে স্কুল যেতে পারি না। গরু নিয়ে যায়। গাছ কেটে নিয়ে যায়। লুটপাট করে।”