Malda TMC: বন্দুক হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল, ‘খেলনা’ বলে দাবি অভিযুক্তের
Malda: এবার মালদার রাজনীতিতে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বন্দুক হাতে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে।
মালদা: মালদায় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রাধানের স্বামীর সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্দুক হাতে ছবি পোস্টকে কেন্দ্র করে তোলপাড় জেলা রাজনীতিতে। ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে শাসকদলের এই পদক্ষেপ বলে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও বিষয়টি ‘মারাত্মক’ বলছেন না অভিযুক্ত। কারণ সেই বন্দুক নাকি আসলে একটি খেলনা মাত্র। পঞ্চায়েত ভোটের দামামা না বাজলেও তা আসন্ন। ভোট ঘোষণার আগেই বিভিন্ন স্তরে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
এবার মালদার রাজনীতিতে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মালিওর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বন্দুক হাতে একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি প্রধান রতিকা আক্তারির স্বামী তথা এলাকার শাসকদলের নেতা আলাউদ্দিন ওরফে সেন্টুর ওই ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই নেতা। কার্যত ঝড়ের গতিতে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আসরে নামে বিজেপি।
সরাসরি ওই নেতা ও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে তারা বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল। তাই বন্ধু খাতে নিয়ে ছবি পোস্ট করছেন তৃণমূল নেতা। ভোটের আগে বিরোধীদের দমাতে এই পদ্ধতি নিয়েছে তৃণমূল।
যদিও বন্দুকটি আসল আগ্নেয়াস্ত্র নয় বলে দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার। বরং সেটি বেলুন ফাটানোর খেলনা বন্দুক বলে তাঁর দাবি। তিনি বলেন, ‘আমি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি পোস্ট করিনি। আমাদের গ্রামের মেলায় গিয়েছিলাম। সেখানে বেলুন ফাটানোর জন্য বন্দুক হাতে নিয়েছিলাম। সেই ছবি তুলে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে। আমরা ভোটে জেতার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করি না। মানুষের জনসমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জেতে। বিরোধীদের অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।’