Maldah Medical: মেডিকেল কলেজে তরুণীকে বিবস্ত্র করে নগ্ন ভিডিয়ো তৈরির চেষ্টা, ঝড়বাদলের রাতে ভয়ঙ্কর ঘটনা…
Maldah Medical: হাসপাতালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানান, শুক্রবার রাতে তুমুল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময় যা-ই ঘটে থাকুক সেটা ওয়ার্ড মাস্টারের পাশের ঘরে ঘটেছে।
মালদহ: বিস্ফোরক অভিযোগ মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে নগ্ন ভিডিয়ো তৈরির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনও অভিযোগ এমএমএস তৈরির পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। আর অভিযোগের আঙুল হাসপাতালেরই নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের তৎপরতায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তিনজনকে খুঁজছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই তরুণীর এক আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন। সঙ্গে ওই তরুণী ছিলেন। রাতেই তাঁকে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে বিবস্ত্র করে মোবাইলে নগ্ন ছবি তোলা হয়। কোনওমতে তিনি পালিয়ে যান বলে দাবি। ঘটনার সময় তুমুল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। তার মধ্যেই ওই তরুণী পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। শনিবার ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
হাসপাতালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানান, শুক্রবার রাতে তুমুল ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সময় যা-ই ঘটে থাকুক সেটা ওয়ার্ড মাস্টারের পাশের ঘরে ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল। এমএসভিপি বলেন, “আজ ওয়ার্ড মাস্টার নিজেই বিষয়টি জানান। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তিনজনের খোঁজ করা হচ্ছে। এরা প্রত্যেকেই হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী। আমরা যেমন তদন্ত করছি, পুলিশও তৎপর। যে এজেন্সির মাধ্যমে এই নিরাপত্তরক্ষী নিয়োগ করা হয়েছিল, তেমন হলে তাদের লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে।”
অন্যদিকে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “থানা অভিযোগ পেয়েছে। শুক্রবার রাতের ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনকে ধরেছে। বাকি তিনজনের খোঁজ করা হচ্ছে। সমস্ত অভিযোগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ জানায়, আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওই তরুণী। শুক্রবার তুমুল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বাইরেই ছিলেন। সে সময়ই কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে অভিযোগ। তাঁকে বিবস্ত্র করে অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরিও করার চেষ্টা হয়। কোনওমতে চিৎকার করে পালিয়ে যান। একটা মেডিকেল কলেজের মতো জায়গায় এমন ঘটনা আরও একবার রাজ্যের প্রশাসনিক দৃঢ়তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল। কীভাবে সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতালে থাকা রোগীর আত্মীয়রাও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।