জমি বিবাদ ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, চলল বোমা-গুলির লড়াই
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। থমথমে এলাকা, পুরুষশূন্য গ্রাম।
মালদা: জমি বিবাদ মেটাতে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। আর সেই সালিশি সভাতেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলল বেপরোয়া বোমাবাজি, হল গুলির লড়াই। বোমা ও গুলিতে মারাত্মকভাবে জখম এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত আরও সাত জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তি দাউদ শেখের মালদার ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ন’ঘড়িয়ায় একটি জমি রয়েছে। তার মালিকানা নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী আরিফ নাদাব ওরফে লাকি ওই জমি দখল করার চেষ্টা করছেন। তা নিয়েই বিবাদ। তবে জমি নিয়ে বিবাদ হলেও ধীরে ধীরে বিষয়টি রাজনৈতিক চেহারা নেয়, কারণ দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।
দাউদ-আরিফের বিবাদ মেটাতে শনিবার গ্রামে সালিশি সভার ডাক দেওয়া হয়। দু’পক্ষই উপস্থিত ছিল। তবে কথাবার্তা চলতে চলতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের লোকজন একে অপরের ওপর চড়াও হন। প্রথমে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে হামলা চলে। এরপর চলে বোমা ও গুলির লড়াই।
আরও পড়ুন: ‘শতাব্দী আজ যাননি তো কি হয়েছে, কাল যাবেন, যেতে তো হবেই’
অভিযোগ, দাউদকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আরিফ। চপার দিয়ে বুকে মারাত্মকভাবে আঘাত করা হয়। বুকের এক পাশে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। গুরুতর আহন হন আরও সাত জন। প্রত্যেকেই হাসপাতালে ভর্তি। এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত লাকির বক্তব্য, “হামলা ওরাই চালিয়েছে। আমরা শুধু প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। আমরা সবাই তৃণমূল করি।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। থমথমে এলাকা, পুরুষশূন্য গ্রাম।
যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ঘটনা। রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ক্রাইম ইজ ক্রাইম। অপরাধী শাস্তি পাবে।”