মানুষ যেন হয়রান না হন, নার্সিংহোমগুলিকে হুঁশিয়ারি মমতার
মা-মাটি-মানুষের সরকার, মানুষের কাছে দায়বদ্ধ। মানুষের ক্ষতি করে কোনও কাজ আমরা করব না, জনসভা থেকে বললেন মমতা।
নদিয়া: রানাঘাটে জনসভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সভা থেকেই এক যোগে সিপিএম, বিজেপিকে নিশানা করলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, তিনি থাকতে এ রাজ্যে এনপিআর, এনআরসি কখনওই হবে না। তিনি বলেন, “৫০-৬০ বছর ধরে যাঁরা বাংলায় রয়েছেন তাঁরা তো এমনিই নাগরিক। তাঁদের আবার আলাদা করে নাগরিকত্ব লাগবে কেন। অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দিয়েছে। কিন্তু এটা বাংলা। এখানে এসব চলবে না।” একইসঙ্গে জেলার ছোট নার্সিংহোমগুলিকে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, মানুষকে কোনওভাবেই যেন হয়রান না হতে হয়।
সভা থেকে কী বললেন মমতা-
*সকল শক্তি নিয়ে একটা মানুষকে শেষ করতে নেমেছে। আমি মনে করি আমাকে শেষ করাটা ব্যাপার নয়, আমাকে শেষ করুন, বাংলাকে শেষ করতে দেব না।
*সকাল থেকে তিলক কেটে বেরিয়ে পড়ছে। শুধু ভাগাভাগি।
* কয়েকজন গিয়েছেন। কেন গিয়েছেন বলুন তো, অনেক টাকা করেছেন। এবার তাদের বলছে যদি টাকা রাখতে চাও বিজেপিতে যাও। কালো টাকা সাদা করতে হলে বিজেপিতে যাও। বিজেপি ভারতীয় জাম্প পার্টি হয়ে গিয়েছে।
*আগে খেতে পেত না, এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বলছে সোনার বাংলা গড়বে, কিছু বাকি আছে? সোনার বাংলা ইতিমধ্যেই বিশ্ববাংলা।
*মুখে অনেকে অনেক কথা বলবে। টাকা দেবে। ভোটের জন্য যারা বাংলার বাইরে থেকে বাংলায় এসেছে, খুব সাবধান। ওরা জিজ্ঞাসা করবে ‘কেয়া মিলা’। আপনি জবাব দিন ‘তোমরা কী দিয়েছ বাবা’।
* বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মানুষগুলো মরে গিয়েছে। ট্রেন ছিল। তবু আনেনি। আমরা ৩০০ ট্রেন ভাড়া করে ৩০ কোটি টাকা খরচ করে নিয়ে এসেছি। তাঁরা বাংলায় এখন কাজ করে।
*আগামিদিনে বাংলায় লক্ষ লক্ষ কাজ হবে ।
*একবার করল নোটবন্দি। কোভিডে হলাম গৃহবন্দি। এবার ওরা করবে জেলবন্দি।
*আমিও গরীব মানুষের বাড়ি যাই। চায়ের দোকানে যাই। নাটক করি না। পাঁচতারা হোটেলের খাবার নিয়ে, হিমালয়ান ওয়াটার নিয়ে যায়। জিন্দেগি এতো সহজ নয় ভাই। ‘কামিয়াবির’ জন্য রাস্তার ধুলো মাখতে হয়।
*বাংলায় একটাও উদ্বাস্তু পরিবার থাকবে না , যারা পাট্টা পাবেন না। সবাই পাবেন, আমরা সবাই নাগরিক।
*জেলার ছোট নার্সিংহোমগুলিকে হুঁশিয়ারি মমতার, গরীব মানুষকে হয়রান করা যাবে না। *দেখান তো আমাদের রাজ্যের মতো কোথায় এত সুবিধা দেওয়া হয়। আমি নাকে খর দিয়ে বেড়িয়ে যাব, রাজনীতি করব না। *২০ লক্ষ সাইকেল জানুয়ারি মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। *ওরা বলে আয়ুষ্মান দেবে। কে কাকে আয়ুষ্মান দেবে। এদিকে কৃষক মারছে। *ওদের আয়ুষ্মান ভারত ৬০ শতাংশ দেবে। ৪০ শতাংশ দিতে হবে আপনাকে। আর আমাদের স্বাস্থ্যসাথী ১০০ শতাংশ সরকার করবে। কোনটা ভালো। *মতুয়া, নমঃশূদ্রদের বোর্ড করেছি। হিন্দি বোর্ডও করেছি। *অসমের মতো এনআরসি, এনপিআর করতে দেব না । নিশ্চিন্তে থাকুন। মায়ের কোলে । *মতুয়ারা সবাই নাগরিক। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি। *বিজেপিতে গেলেই সব ভালো, তৃণমূলে থাকলে কালো। *লোডশেডিং এখন হয় না । ওটা কী বস্তু আজকের প্রজন্ম জানে না। *এনআরসি করতে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকুন। *নদিয়ায় আগে কাজ হতো না । শুধু ভোট হতো। এখন সব এলাকায় এলাকায় আমরা কাজ করেছি। *৭০০ একর জমি ইসকনকে দিয়েছি যাতে এটা আরও বড় কেন্দ্র হতে পারে।