Murshidabad: ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আসতেই থানায় দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক
Murshidabad: দলকে কালিমালিপ্ত করতেই ভুয়ো তথ্য রটানো হচ্ছে। দাবি বড়ঞা বিধানসভার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার।
মুর্শিদাবাদ: ব্লক সভাপতি হতে গেলে তৃণমূল বিধায়ককে (Trinamool MLA) দিতে হবে ঘুষ! সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হওয়া অডিকেও কেন্দ্র করে বুধবার থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহলে। অভিযোগ, বড়ঞা বিধানসভার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদের থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। টাকার বিনিময়েই বিক্রি করেছেন পদ। ভাইরাল অডিওর পাশাপাশি একটি চিঠিও প্রকাশ্য আসে। যা নিয়েও চাঞ্চল্য তৈরি হয়। এবার এই ঘটনায় একেবারে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন জীবন কৃষ্ণ সাহা। মঙ্গলবার রাতেই তিনি বড়ঞা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি দলকে কালিমালিপ্ত করতেই এ ধরনের তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বড়ঞা বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার দাবি, গত ২ জুলাই যে চিঠি প্রকাশ্য এসেছে তাতে যে দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর কথায়, “আমার দলকে, আমার নেতৃত্বে কলুষিত করার জন্য কয়েকজন চেষ্টা করেছিল। আমার স্ট্যাম্প, সই ডুপ্লিকেট করে বানানো হয়েছে। বিভিন্নভাবে আমার দলকে দুর্নাম করার চেষ্টা করা হয়েছে।” চিঠির পাশাপাশি ভাইরাল অডিয়ো নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বড়ঞা থানায় প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জর্জ ও প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলমের বিরুদ্ধে আইনি পথে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ঘটনা প্রসঙ্গে বড়ঞা প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোলাম মুর্শেদ জর্জ জানান, “যে অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে তা গত এক বছর আগের। আমরা আগেই দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তবে আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আমরাও পাল্টা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে দলকে কালিমালিপ্ত কিছু করিনি। আমরা তৃণমূল দলকে ভালোবাসি।” এদিকে এর আগে জীবন কৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মাহে আলম। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এখানকার বিধায়ক বড়ঞার মানুষের সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা, ধোকাবাজি, মিথ্যেবাদী, চিটিংবাজি করেছেন। কোনও রকম কিছুই বাকি রাখেননি। এখানকার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করছেন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতির থেকে তিরিশ লক্ষ টাকা চেয়েছেন। বলেছেন এখন তিরিশ লক্ষ টাকা দিন বাকি পরে দেওয়া হবে। আমি আপনাকে পুনরায় ব্লক সভাপতি করব।”
পুলিশে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের কথা শুনে তিনি বলেন, “বর্তমানের বিধায়ক সমস্ত তথ্য জাল করে কাজ করেন। আমি কোনও জাল কাজ করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। আমরাও পাল্টা হাইকোর্টে মামলা করব।”