Child Death: স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ভাই-বোন, পথেই ৬ বছরের শিশুর মর্মান্তিক পরিণতি
Child Death: দুই শিশুর এই পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। তারা মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার অর্জুনপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ : চলতি মাসেই মালদহ ও পুরুলিয়ায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই পড়ুয়ার। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু এক শিশুর। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ওই মৃত শিশুর দাদাও। মুর্শিদাবাদের ঘটনা। দুই ভাই বোন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, সই সময়েই এই ঘটনা ঘটে। ৬ বছরের বোনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। আর তার দাদাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দুই শিশুর এই পরিণতিতে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে। তারা মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার অর্জুনপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলে পড়ত দুজনে। শনিবার স্কুল থেকে ফেরার পথে আচমকাই রাস্তার পাশের একটি দেওয়াল ভেঙে যায়। তাতেই চাপা পড়ে যায় দুজনে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ বছরের সালমা খাতুনের। প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সে। জখম ছাত্রের নাম ইজাজ হোসেন (৯)। সে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
তার আত্মীয়রা জানিয়েছেন, ইজাজ হোসেনের শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাকে অর্জুনপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকেরা সালমা খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর ইজাজ হোসেনকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
নভেম্বরের শুরুর দিকে, মালদহের মোথাবাড়ি এলাকায় একটি স্কুলের শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর আহত হয়েছিল আরও একজন। ওই ঘটনার ঠিক পরের দিনই পুরুলিয়ার আদ্রায় সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ফের স্কুলের শৌচাগারের লাগোয়া দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয় এক নাবালকের।