Attack on TMC leader: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বোমার আঘাতে জখম পঞ্চায়েত সদস্য
বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন বাবর। যাওয়ার সময়ই রাস্তায় বোমা মারা হয় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে।
কান্দি : ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বোমা মারা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠল তৃণমূল কর্মীরই বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে জখম হয়েছে তৃণমূল নেতা বাবর আলি। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। তৃণমূল কর্মীর শাহজাহানই এই কাজ করেছে বলে দাবি বাবরের। বাবরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, তাঁকে সরিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হওয়াই শাহজাহানের মূল উদ্দেশ্য।
শুক্রবার সন্ধের ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের নবগ্ৰামে। জানা গিয়েছে, এ দিন বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন বাবর। যাওয়ার সময়ই রাস্তায় বোমা মারা হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। বোমার আঘাতে আহত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযোগের তির ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মী শাহজাহানের দিকে। ঘটনায় আহত ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাবর আলির আত্মীয় সিটু জানান, দ্বন্দ্ব ছিল অনেক দিন ধরেই। রাজনৈতিক হিংসার এই ঘটনার পিছনে কারণ বলে মনে করছেন তাঁরা। তিনি জানান, বাবরকে সরিয়ে পঞ্চায়েতের সদস্য হতে চায় শাহজাহান।
কয়েক দিন আগেই মালদা জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। যার জেরে চলে গুলি। গোলাগুলিতে আহত হলেন দলেরই এক নেতার দুই পুত্র তথা কর্মী। এলাকায় নামানো হল র্যাফ (RAF)। মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংর্ঘষে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুরে। এরপরই হঠাৎই গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাতলামারী এলাকা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে গুলিতে আহত হন তৃণমূলের দুই কর্মী। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে তারপরেও থামেনি অশান্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাতেও হয়নি। অবশেষে নামাতে হয় র্যাফ।
আরও পড়ুন : ‘দিদির পায়ে হাওয়াই চটি, ভাইরা সব কোটিপতি’, বাবুলের সভার মাঝেই বেজে উঠল সেই গান