Adhir Ranjan Chowdhury: তেতে মেজাজ, বিক্ষোভের মুখে পড়তেই বিজেপির জেলা সভাপতিকে ধাক্কা অধীরের!

Lok Sabha Election 2024: শক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিলে হিংসার ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হাসপাতালে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। ব্যস, এতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে।

Adhir Ranjan Chowdhury: তেতে মেজাজ, বিক্ষোভের মুখে পড়তেই বিজেপির জেলা সভাপতিকে ধাক্কা অধীরের!
বিক্ষোভের মুখে অধীর রঞ্জন চৌধুরী।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2024 | 1:37 PM

বহরমপুর: ভোটের মুখে মেজাজ চরমে অধীরের। নিজের গড়েই ফের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। আর বিক্ষোভের মুখে পড়তেই ফের মেজাজ হারালেন তিনি। ধাক্কা দিলেন বিজেপির জেলা সভাপতিকে।

বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ধুন্ধুমার বাধে। শক্তিপুরে রাম নবমীর মিছিলে হিংসার ঘটনায় আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। হাসপাতালে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকে বিজেপি কর্মীরা। ব্যস, এতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালে অধীর মেজাজ হারান। তিনি মেজাজ হারিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারকে ধাক্কা দেন।

অভিযোগ, অধীর রঞ্জন চৌধুরী আসার পরই বিজেপি ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে চলছিল তর্কাতর্কি, ধস্তাধস্তি। আগে থেকেই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার। অধীরকে ঘিরে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে প্রথমে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ধাক্কা দেয়। পরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজেও বিজেপির জেলা সভাপতিকে ধাক্কা দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অধীর চৌধুরী বলেন, “আমি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মানব না। ধর্মের বিভেদ মানব না। এর প্রতিবাদ আমি করবই।”

অন্যদিকে, বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “অধীর চৌধুরীর মেজাজ হারানো উচিত হয়নি। কত জায়গাতেই তো প্রতিদিন গো ব্যাক স্লোগানের মুখে পড়তে হয়।”

প্রসঙ্গত, ৪ দিন আগেও প্রচারে বেরিয়ে মেজাজ হারান তিনি। প্রচারের মাঝে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দেখে ‘গো ব্য়াক’ স্লোগান দিতেই মেজাজ হারান কংগ্রেস প্রার্থী। এক যুবকের দিকে তেড়ে যান তিনি, মারতেও উদ্যত হন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো ভাইরালও হয়েছে। দাবি, ওই যুবক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী।