Murshidabad Congress: স্রেফ কংগ্রেস করার জন্যই চাকরিতে কোপ? মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীরের
Adhir writes to Mamata: বহরমপুরের চার নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাবন্ধু কর্মী হিসেবে বছরের পর বছর ধরে কাজ করে আসছেন জবা দাস। ২০০৭ সাল থেকে তিনি কাজ করছেন। কিন্তু এই বছরের অক্টোবর থেকে হঠাৎ তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জবা দাসের বক্তব্য, তিনি কংগ্রেস করেন বলেই তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বহরমপুর: শুধুমাত্র কংগ্রেস করার কারণেই কি চাকরি খোয়াতে হল? মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পুরসভার এমন বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বহরমপুরের চার নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দাবাদ পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাবন্ধু কর্মী হিসেবে বছরের পর বছর ধরে কাজ করে আসছেন জবা দাস। ২০০৭ সাল থেকে তিনি কাজ করছেন। কিন্তু এই বছরের অক্টোবর থেকে হঠাৎ তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জবা দাসের বক্তব্য, তিনি কংগ্রেস করেন বলেই তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁকে নাকি বলা হয়েছে, ‘আপনি এখন বিশাল নেত্রী হয়ে গিয়েছেন।’ শুধু জবা দাসই নন, আরও বেশ কয়েকজন অস্থায়ী কর্মীর বেতন হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে আবার কাজে পুনর্বহাল করে বেতন চালু করা হোক, সেই দাবি তুলেছেন অধীর চৌধুরী। জবা দাস জানাচ্ছেন, তিনি এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠিও রিসিভ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমন অবস্থায় তাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে গোটা বিষয়টি জানান ওই মহিলা। এরপর জবা দাসের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল বহরমপুর পুরসভা চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। তাঁর বক্তব্য, “পুরসভায় প্রায় তিন হাজার অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। তার মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁদের ‘নো ওয়ার্ক নো পে’। যখন কাজের প্রয়োজন, তখন তাঁদের নেওয়া হয়। ওই মহিলাকে আগেও বলা হয়েছিল। ওনাকে জানানো হয়েছে, মোট ২৬ জনকে বলা হয়েছে বিকল্প কাজ দেখার জন্য। আপাতত তাঁদের কাজের দরকার নেই, প্রয়োজন হলে পরে আবার ডাকা হবে।”