Murshidabad: পরীক্ষাহলে ‘প’ দিয়ে তিন শব্দ লিখেছিলেন বেঞ্চে, একটা অক্ষরই শিক্ষককে দিল জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্মান
Murshidabad: শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সঞ্জয় বাবু জানান, প্রবন্ধটি তিনি ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। ২৭ অগস্ট থেকে রেকর্ড বইয়ে নামের জন্য প্রসেসিং শুরু হয়।
মুর্শিদাবাদ: পরীক্ষা হলে তিনটে শব্দ মাথায় এসেছিল তাঁর। তিনি লিখেছিলেন বেঞ্চে। তিনটিই সমার্থক শব্দ। শুরু ‘প’ দিয়ে। ‘প’ এ নতুন পরিচয় পেল শিক্ষক সঞ্জয়ের। নাম উঠল ‘ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে’। বিষয়টা কী? বিষয়টা অত্যন্ত অভিনব। শুধু মাত্র ‘প’ বর্ণ দিয়েই বাজিমাত ফরাক্কার আমতলা হাইস্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় দাসের। ‘প’ বর্ণকে আশ্রয় করে ৩৭১ পদের একটি প্রবন্ধ লিখে ফেলেছেন সঞ্জয়বাবু। প্রবন্ধের নাম ‘প্রজা প্রজেশ্বর পরিকথা’। সাম্প্রতিক সময়ে প্রজা অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রজেশ্বর অর্থাৎ প্রজা পালকদের সম্পর্ক নিয়েই প্রবন্ধটি রচিত হয়। প্রবন্ধটির বৈশিষ্ট্য প্রতিটি পদ ‘প’ দিয়ে শুরু হয়েছে।
লেখকের দাবি, এর আগে তিন শতাধিক একই আদ্যাক্ষর দিয়ে কোনও প্রবন্ধ লেখা হয়নি। সঞ্জয়ের এই অভিনব সাহিত্য সৃষ্টির জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম উঠেছে। প্রবন্ধটি প্রথম প্রকাশিত হয় চলতি বছরে ১ জুন আসামের শিলচর থেকে। শিলচরের বহুল প্রচলিত ‘গতি দৈনিক পত্রিকায়’ প্রবন্ধটি প্রকশিত হয়। আমতলা হাইস্কুলের শিক্ষক সঞ্জয়বাবুর বরাবর সাহিত্যের প্রতি টান রয়েছে। সঞ্জয় বলেন, “পরীক্ষা হলে আমার মাথায় তিনটে শব্দ এসেছিল। আমি আমতলা হাইস্কুলের শিক্ষক। একটি স্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন তিন প দিয়ে শব্দ মাথায় আসে। সেগুলিকে বেঞ্চে লিখি। সেটা কাগজে তুলি। তারপর হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’খণ্ডের অভিধান থেকে পড়াশোনা করে সমার্থক শব্দ চয়ন করেই এটা লিখেছি।”
শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য নিয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সঞ্জয় বাবু জানান, প্রবন্ধটি তিনি ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। ২৭ অগস্ট থেকে রেকর্ড বইয়ে নামের জন্য প্রসেসিং শুরু হয়। ২৪ অক্টোবর রেকর্ড বুকে নাম তোলা বিষয়ে কনফার্ম করা হয়। ১৮ নভেম্বর সঞ্জয়ের বাড়িতে শংসাপত্র, মেডেল প্রভৃতি আসে। যা নিয়ে এখন গর্বিত পরিবারের সদস্যরা।