Murshidabad Crime Case: ব্যাঙ্ককর্মীই ‘ইনফরমার’, কীভাবে দিনের আলোয় ছিনতাই হল ১৮ লক্ষ টাকা?
Murshidabad Crime Case: পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সামনে চায়ের দোকানে কাজ করতেন। আর কয়েস উদ্দিন মণ্ডল নামে আর এক অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্কের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত।
মুর্শিদাবাদ: ১৮ লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন এক ব্যবসায়ী। বাস থেকে নেমে কিছুটা রাস্তা হেঁটে ব্যাঙ্কে ঢোকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই পথটুকু পার হওয়ার আগেই ছিনতাই হয়ে যায় সর্বস্ব। পুরো টাকাটাই নিয়ে পালায় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গেলে পরপর দু রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ী আহত হননি। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খোঁজ মেলে তিন অভিযুক্তের। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এক ব্যঙ্ককর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়।
দিন তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার অন্তর্গত ঘূর্ণি মোড় এলাকায় ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার সুবিমল পাল জানিয়েছেন, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম হান্নান শেখ, তিনি বহরমপুরের ঘূর্ণি এলাকার বাসিন্দা। হাসিবুল শেখ নামে অপর অভিযুক্ত মুর্শিদাবাদ থানার মানিকনগরের বাসিন্দা ও তৃতীয়জন কয়েসউদ্দিন মণ্ডলের বাড়ি বহরমপুর থানার অন্তর্গত উস্তিয়া এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সামনে চায়ের দোকানে কাজ করতেন। আর কয়েস উদ্দিন মণ্ডল নামে আর এক অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্কের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত। এই ব্যক্তিই ছিনতাই-এর ঘটনায় ইনফরমার হিসেবে কাজ করছিল বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সম্প্রতি হরিদাস মাটি এলাকায় পরপর তিনটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই চুরির কিণারাও করে ফেলেছে পুলিশ। বাপ্পা দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রণামী বাক্স খুলে টাকা চুরি করে নেওয়া হত বলে অভিযোগ।