AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Omicron Variant found in Bengal: মাতৃসদনে প্রস্তুতি সাড়া, দেখা নেই ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর!

Murshidabad: ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই ৭ বছরের বালকের রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে পৌঁছনোর আগেই সে সরাসরি কালিয়াচকে তার মায়ের সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে  মামারবাড়িতে

Omicron Variant found in Bengal: মাতৃসদনে প্রস্তুতি সাড়া, দেখা নেই ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর!
বঙ্গে ধরা পড়ল ওমিক্রন, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 9:16 PM
Share

মুর্শিদাবাদ:  বঙ্গে ওমিক্রন ধরা পড়তেই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বহরমপুরের মাতৃসদনে ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত ৭ বছরের শিশুটিকে আনার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই মাতৃসদনে তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেখানেই শিশুটিকে রাখার কথা। কিন্তু, দেখা নেই আক্রান্তেরই!

সূত্রের খবর, ওমিক্রনে আক্রান্ত ওই ৭ বছরের বালকের রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদে পৌঁছনোর আগেই সে সরাসরি কালিয়াচকে তার মায়ের সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে  মামারবাড়িতে। গতকাল রাত থেকে সেখানেই রয়েছে সে! আপাতত, শিশুটির বাড়ির লোকের সঙ্গ যোগাযোগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।  আক্রান্ত বালকের বাড়ির এলাকাতেও যেতে পারেন স্বাস্থ্যকর্তারা এমনটাই জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে আরও ৬ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই ৬ জনের মধ্যে কারোর রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি আক্রান্ত শিশুটিকে অতিদ্রুত মাতৃসদনে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বিশেষ কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। আপাতত, ওই শিশুটির বাবা এবং বোনকেও মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে অবতরণ করে ওই শিশু ও তার বাবা-মা। হায়দরাবাদে দু দিন থাকার পর গতকাল অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে সেই পরিবার। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে গতকালই তারা মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফেরে। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাসিন্দা ওই পরিবার।

এ দিকে, আবু ধাবি থেকে এসে হায়দরাবাদে বিমানবন্দরে নামার পর ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে বাবা-মায়ের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তবে শিশুর নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরই ওই নমুনা জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাছানো হয়। তেলেঙ্গানা সরকার ওই রিপোর্টে জানতে পারে শিশুটি ওমিক্রনে আক্রান্ত। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সে কথা জানানো হয় তেলেঙ্গানার তরফ থেকে।

তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই শিশুকে কী ভাবে তার পরিবার এতটা পথ নিয়ে এল, সেই প্রশ্ন উঠছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ওমিক্রন পজিটিভ বালক কী ভাবে ফরাক্কা পৌঁছল? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ডোমেস্টিক উড়ানে আসায় নজরদারি এড়িয়ে গিয়েছে ওই বালক। প্রোটোকল মেনে আন্তর্জাতিক উড়ানে আসা যাত্রীদের‌ই পরীক্ষা করা হচ্ছে। নজরদারির ফাঁক কোথায়, এই ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

রাজ্যে ওমিক্রনের অনুপ্রবেশে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর? স্বাস্থ্য ভবনের মুখ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে শিশুটিকে মুর্শিদাবাদের মাতৃসদনে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে তাকে একান্তবাসে রাখা হবে। পাশাপাশি, কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিশুটি হায়দ্রাবাদ থেকে কলকাতা হয়ে মুর্শিদাবাদ পৌঁছেছে তাই সে ও তার পরিবার কোন পথে ও কোন রুটে কীভাবে যাতায়াত করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইমতো সেই নির্দিষ্ট রুটে ওই শিশুটির আশেপাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সম্ভাব্য একটি তালিকা তৈরি করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও, মুর্শিদাবাদে শিশুটির বাড়ির আশেপাশে ও সেই এলাকাটিও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানকার মানুষদেরও পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘মমতার-সরকারে রোহিঙ্গারা উড়ছে, হাইকোর্ট দেখুক বাংলাদেশের ভোটার এসে বোতাম টিপছে কি না’