Suvendu Adhikari: রাজ্যপাল ট্র্যাকে আসতে শুরু করেছেন: শুভেন্দু
Suvendu on Governor: রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, রাজ্যপাল ট্র্যাকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন।
ময়ূরেশ্বর: শনিবার সকালে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেছেন বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেখান থেকে বেরিয়ে সুকান্তবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁকে দুর্নীতির সঙ্গে জিরো টলারেন্সের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজনীতিতে যে হিংসার কোনও জায়গা নেই, সেই কথাও রাজ্যপাল জানিয়েছেন বলে দাবি সুকান্তর। আর এরপরই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, রাজ্যপাল ট্র্যাকে ফিরে আসতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে সুকান্ত-রাজ্যপাল সাক্ষাৎ প্রসঙ্গেও মুখ খুললেন। বললেন, ‘সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি। রাজভবনের দরজা তো বন্ধ থাকে না। রাজভবনে যাবেন না কেন? নিশ্চিতভাবে যাবেন।’
শনিবার বিকেলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে একটি জনসভায় হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেই সভা শেষে রাজ্যপালের দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে ফের একবার তোপ দাগেন রাজভবনের দায়িত্বে থাকা প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বললেন, ‘সাংবিধানিক পদে একজন বসে আছেন। তাঁর সম্পর্কে আমি কোনও কথাই বলব না। আমি যতবার ওনার সম্পর্কে বলেছি, ততবারই বলেছি ওনার সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ভুল বোঝাচ্ছেন।’
একই সঙ্গে রাজ্যপাল ইস্যুতে শুভেন্দুর সংযোজন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফাঁদে উনি পা দিয়েছেন। রাজ্যপাল ভাল মানুষ। শিক্ষিত লোক। উনি ট্র্যাকে ফিরে আসুন, সঠিক রাস্তায় ফিরে আসুন। গোপাল কৃষ্ণ গান্ধী ও জগদীপ ধনখড়ের দেখানো পথে সাংবিধানের রক্ষক হিসেবে উনি কাজ করুক। আমার বিশ্বাস, উনি ট্র্যাকে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন। উনি আস্তে আস্তে ট্র্যাকে ফিরছেন, এটা আমাদের জন্য ভাল।’
প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদারের রাজভবনে যাওয়া নিয়ে ইতিপূর্বেই টুইটারে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘রাজভবনে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভায় শুভেন্দুর নেতৃত্বে রাজ্যপালকে যে অপমানের চেষ্টা হয়েছে, তার জন্য মার্জনা চেয়েছেন তিনি। সেটা ঢাকতে পরে অবান্তর কিছু কথা বলেছেন মিডিয়াকে। সুকান্ত রাজভবনের পিআরও সাজতে চেয়েছেন।’