Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Physical Harassement: ‘কেন বিচার নয় নির্যাতিতার?’, TMC নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব দলেরই জেলা নেত্রী

Murshidabad: বহরমপুর সার্কিট হাউসে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করতে যান মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মহিলা সেলের সভানেত্রী শাহানাজ বেগম।

Physical Harassement: 'কেন বিচার নয় নির্যাতিতার?', TMC নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরব দলেরই জেলা নেত্রী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 9:47 PM

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন মুর্শিদাবাদ-বহরমপর সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। ওই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে দলের এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। প্রথমে সেই বিষয়টি নিয়ে থানায় যাওয়া হলে অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি। পরে অবশ্য অভিযোগ গ্রহণ হয়েছিল এবং ওই মহিলা পরে আবার তা প্রত্যাহারও করে নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে আবার মামলা করা হয় এবং সেটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। ওই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রয়েছে।

সেই অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন। নির্যাতিতা ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর তিনি বহরমপুর সার্কিট হাউস পৌঁছাতেই মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের মহিলা সেলের সভানেত্রী শাহানাজ বেগম। পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলে মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী বলেন, “রেজিস্ট্রি চিঠি বর্তমান এসপি নিয়েছিলেন, কিন্তু থানায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাধারণ মানুষ সেখানে জিডি করতে যেতে পারে না। সেই কারণে আমি সুপারের সঙ্গে দেখা করে বলেছি, তিনি যাতে ওটিকে মানুষের থানা হিসেবে গড়ে তোলেন।”

পাশাপাশি ওই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেন একটি মেয়ে বিচার পাবে না? সরকার যেখানে মেয়েদের এত সম্মান দিচ্ছে, এত গুরুত্ব দিচ্ছে, তৃণমূলের মহিলা ভোটব্যাঙ্ক অটুট। তাহলে মহিলা নির্যাতন হলে, নির্যাতিতা কেন বিচার পাবেন না? আমার নীচুতলার কর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করছে, আমি কী করছি? কেন একজন ধর্ষক বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে? সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমারও বিবেক ধাক্কা দিচ্ছে আমাকে।”

অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই ব্লক সভাপতির লোকেরা দলের মহিলা কর্মীকে চাপ দিয়েছিল বলেও একটি নতুন তত্ত্ব উঠে আসছে। যদিও ওই ব্লক সভাপতির সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না। যদি তাঁকে জোর করা হয়ে থাকত, তাহলে তিনি থানায় সেটি বলেননি কেন? মিথ্যা কথা বললে তো হবে না। আর উনি অভিযোগ করছেন, সেটি আমি বলতে পারব না। এটি হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়। আদালত যতক্ষণ না কোনও নির্দেশ দিচ্ছে, ততক্ষণ আমি কিছু বলতে পারব না।”