Berhampore Municipal Election: ‘আমরা দাদার লোক’ অধীরের নাম করে এসে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গুলি, বোমাবাজি শাসকদলের!
West Bengal Municipal Election : প্রথমে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর গুলি চালানো হয় এলাকায়। সঙ্গে চলে অশালীন ভাষায় নোংরা গালাগালি।
মুর্শিদাবাদ: পুরভোটের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর। একাধিকাবার আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিরোধী দলের প্রার্থী থেকে শুরু করে কর্মীদের। কখনও তাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কখনও আবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে। অত্যাচারের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে কংগ্রেস কর্মীদের সারারাত আশ্রয় নিতে হয়েছে পার্টি অফিসে। বারবার সেই অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শনিবার সরবও হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি। কিন্তু কোথায় কী? কোনও হের ফের নেই। ফের রাতের অন্ধকারে এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
বহরমপুর পৌরসভার অন্তর্গত ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী তনুশ্রী ঘোষ। অভিযোগ, প্রথমে ওই কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে যে ব্যক্তি ফ্লেক্স দিতে এসেছিলেন তাঁকে হয়রানি করে শাসকদলের দলবল। এরপর রাত দশটা নাগাদ ওই এলাকাতেই ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অপর্ণা শর্মা। অনেক রাত অবধি তিনি সেখানে ছিলেন। এবার অপর্ণা দেবী চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাণ্ডব শুরু হয় দুষ্কৃতীদের।
প্রথমে কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ির সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর গুলি চালানো হয় এলাকায়। সঙ্গে চলে অশালীন ভাষায় নোংরা গালাগালি। এই ঘটনায় তনুশ্রী ঘোষ বলেন, “ব্যানার নিয়ে দু’জন এসেছিলেন। সেই সময় ওরা জিজ্ঞাসা করে কোন দলের ব্যানার। কংগ্রেস শোনার পর ওরা চলে যায়। কিছুক্ষণ পরই প্রায় আটজনের মতো ছেলে এসে কলার ধরে গলি থেকে বের করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অধীর চৌধুরীর নাম করে ঢোকে গলিতে তারপর রাত দশটা নাগাদ আমার বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে দেয়। তারপর দরজায় লাঠি মারল। গুলি করল। তারপর গালি দিতে-দিতে চলে গেল।”
অন্যদিকে, গোটা ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে শাসকদল। তৃণমূল প্রার্থী অপর্ণা শর্মা বলেন, “গোটা ঘটনাই সাজানো। এই ওয়ার্ডে কংগ্রেস এমন একজনকে প্রার্থী করেছে যে তাকে মানুষ ভালোভাবেই চেনে। এলাকাবাসী জানেন উনি কেমন ধরনের মহিলা। তাই প্রতিযোগী নন উনি আমার। তৃণমূল গণতান্ত্রিক দল। সন্ত্রাস করে ভোট তারা করবে না।”