Love Story: প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে রানিনগরে হাজির তরুণী, কনে দেখতে ভিড় পাড়ার লোকের
Murshidabad: কাতলামারির ছেলে মুসাফির হোসেন এ বছরই স্নাতক হয়েছেন। ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানান প্রায়শই।
মুর্শিদাবাদ: বাংলাদেশে (Bangladesh) বাড়ি। বছর চারেক আমেরিকায় রয়েছেন। সেখানে থাকাকালীনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুর্শিদাবাদের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এরপর মেসেজে কথাবার্তা শুরু। সেখান থেকে সম্পর্ক এগোয়। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিয়ে। বিয়ে করতে একা একাই মার্কিন মুলুক থেকে পাত্রী এসে হাজির মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কাতলামারিতে।
কাতলামারির ছেলে মুসাফির হোসেন এ বছরই স্নাতক হয়েছেন। ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বানান প্রায়শই। সেই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই পরিচয় হয় রাইহান আখতারের সঙ্গে। রাইহান থাকেন আমেরিকায়। রবিবারই সেখান থেকেই মুর্শিদাবাদের রানিনগর সীমান্তের গ্রামে এসে হাজির হন।
রাইহান বলেন, “আমার আসল বাড়ি বাংলাদেশ। আমেরিকায় আছি চার বছর হতে চলল। ভাই নিয়ে গিয়েছিল। এখন সেখানেই থাকি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম পরিচয়। তারপর ও আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরপর কথাবার্তা এগোয়। একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রথমে বাড়ির লোকের সম্মতি ছিল না।” সোমবার সন্ধ্যায় তাঁদের বিয়ে। তবে রাইহানের মা আসেননি। রাইহান বলেন, “প্রথমে বাড়ির লোকেরা সম্পর্ক মানেননি। তবে ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। মা আসেনি। ঠিক করেছি বিয়ের আগে মাকে ফোনে ধরব একবার। তবে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুব ভালবাসা দিয়েছেন আমাকে।”
অন্যদিকে মুসাফির হোসেন বলেন, “আমি এ বছর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলাম। চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারি। ডোমকল কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স পড়েছি। প্রায় তিন বছরের সম্পর্ক আমাদের। আজই বিয়ে করছি। ও রবিবার দুপুরেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সোজা আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে।” সামাজিক নিয়ম মেনে সোমবার বিয়ে হচ্ছে রাইহান মুসাফিরের। এরপরই আইনি বিয়েও সারবেন তাঁরা। তারও প্রস্তুতি চলছে। বিদেশ থেকে বউ আসার খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকার ওই পাড়ায় লোকজনের ভিড়। মার্কিন মুলুক থেকে এসেছেন বলে কথা!