Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BSF: ‘মধু’ খাবে সেনা, হুল ফুটবে অবৈধ বাংলাদেশিদের- অনুপ্রবেশ রুখতে নয়া কৌশল কেন্দ্রের

BSF: বিএসএফের গুলিতে মানুষের মৃত্যুর সংবাদ প্রায়ই পাওয়া যায়। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিএসএফকে। এই ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে বিকল্প পথ হিসেবে এ ধরনের পরিকল্পনা বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরীক্ষামূলকভাবে গড়ে তোলা হবে মৌমাছিদের বাহিনী।

BSF: 'মধু' খাবে সেনা, হুল ফুটবে অবৈধ বাংলাদেশিদের- অনুপ্রবেশ রুখতে নয়া কৌশল কেন্দ্রের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2023 | 1:56 PM

নদিয়া: বারবার কাঁটা তার পেরিয়ে এ রাজ্যে বাংলাদেশিদের প্রবেশের ঘটনা নতুন নয়। তবে বেআইনি এই প্রবেশ রুখতে সদা তৎপর সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। বৈধ কাগজ ছাড়া এ রাজ্যে প্রবেশ করে প্রায়শই আটক হয় একাধিক বাংলাদেশি। সেই অনুপ্রবেশ রুখতে আরও তৎপর বিএসএফ। মৌমাছি চাষ শুরু করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মৌমাছিকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করবে তারা। বিএসএফ সূত্রে খবর, ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ। এতে যেমন সীমান্ত সুরক্ষার কাজ হবে, তেমনি স্থানীয়দের বাসিন্দাদের জীবিকার সংস্থান হবে।

বিএসএফের গুলিতে মানুষের মৃত্যুর সংবাদ প্রায়ই পাওয়া যায়। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিএসএফকে। এই ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে বিকল্প পথ হিসেবে এ ধরনের পরিকল্পনা বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরীক্ষামূলকভাবে গড়ে তোলা হবে মৌমাছিদের বাহিনী।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে চার হাজার ৯৬ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে। যার মধ্যে এ রাজ্যে রয়েছে ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। নদিয়ার গেদে, চাপড়া, বানপুর, কাদিপুর সহ একাধিক জায়গা সীমান্তবর্তী অঞ্চস। সেই সব এলাকাতেই এবার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ কর্মসূচির আওতায় এই মৌমাছি পালন করা হবে। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেছে নিয়েছে সরকার। পরীক্ষা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে আদৌ সীমান্তের অনুপ্রবেশ রোখা যায় কি না।

জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জ থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় মৌমাছির ২০টি বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেই মৌমাছির দেখভালের পাশাপাশি মধু সংগ্রহ করবেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

কীভাবে চাষ হবে মৌমাছির?

এই মুহূর্তে আপাতত ২০০টি বাক্স বসানোর লক্ষ্য রয়েছে। সীমান্তের যে কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে তার কাছে মৌমাছি বান্ধব ফুল-গাছ থাকবে। সেখানেই মৌমাছির বাক্স বসানো হবে। বাক্সের উপর ছায়া দিয়ে প্রাকৃতিক আবাস্থল তৈরি করা হবে।

কীভাবে প্রতিহত হবে চোরা অনুপ্রবেশ?

এবার অবাঞ্ছিত প্রবেশ করার জন্য যেই কেউ তাদের বিরক্ত করবে তখনই মৌমাছি তাদের আক্রমণ করবে। কার্যত বলাই যায় মৌমাছি মানুষ চিনবে না। বা অপরাধ চিনবে না। শুধু চাকে ঢিল পড়লেই শত্রুকে হুল ফোটাবে। এই বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের বিএসএফ জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি বলেন,”এই প্রকল্প সফল হলে আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তজুড়ে কাঁটাতারে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হবে।”