Mamata on Circuit House: ‘টাকা কি হাতের মোয়া?’ ফের পূর্ত দফতরের উপর ‘তেলেবেগুনে’ রেগে গেলেন মমতা
Mamata Banerjee: এদিন প্রশাসনিক সভার শুরুতেই কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, 'কৃষ্ণনগরে ১০০ বছরের পুরনো সার্কিট হাউস ভেঙে পড়েছে।'
নদিয়া: তিন দিনের নদিয়া সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ প্রশাসনিক সভা করেন তিনি। তবে সভার শুরুতেই পিডব্লুডি (Pwd)-র কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ত দফতরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাফ জানিয়েছেন যে, বেসরকারি হোক বা সরকারি সংস্থা এবার সার্কিট হাউসের কাজ নিজেদের টাকাতেই মেটাতে হবে। কারণ সরকার আর একটা টাকাও দেবে না।
এদিন প্রশাসনিক সভার শুরুতেই কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, কৃষ্ণনগরে ১০০ বছরের পুরনো সার্কিট হাউস ভেঙে পড়েছে। এই হাউস তৈরির জন্য পূর্ত দপ্তরের PWD-কে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা যায় ছাদ ভেঙে পড়েছে।এখন ছাদ সারাইয়ের জন্য আরও ৭১ লক্ষ টাকা চাওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘মামদোবাজি? টাকা কি হাতের মোয়া? মেঘ দে, পানি দে-র মতো টাকা দে, টাকা দে।’
এরপর স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, ‘টেন্ডারের টাকা দিয়েই কাজ শেষ করতে হবে। কাজ না হলে ব্ল্যাক লিস্ট করা হবে। নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে কাজ শেষ করুন। সরকার আর এক টাকাও দেবে না।’ পরবর্তীতে জেলা শাসককে নিদেশ দেন, ‘PWD’র যারা এই কাজ করছিল তাঁদের নামের তালিকা দিন, যাদের অবহেলায় এই কাজ হয়েছে, তাদের শাস্তি হবে।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত বীরসিংহ ভগবতী বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসের পুরনো মাটির ভবনটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সেটি ভেঙে পড়ে। যা নিয়ে শোরগল পড়ে।সেই সময় পূর্ত দফতরের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরিই বলেছিলেন, ‘এত খাঁই কেন?’
আবার মেদিনীপুরের কমিউনিটি হল ও দু’টি বড় গেট তৈরির খরচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও ক্ষুব্ধ হন মমতা।তিনি বলেন, ‘পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই, ওদের দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই।’