Mamata Banerjee: ‘এক হাজার টাকায় অস্ত্র আসছে, ছিন্নভিন্ন করতে চায় উত্তরবঙ্গকে’
Mamata Banerjee: এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রানাঘাটের অনেক জায়গা আছে, আমরা বলতাম ধানতলা থেকে বানতলা। অর্থাৎ হঠাৎ করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে হবে।'
রানাঘাট: বৃহস্পতিবারের রানাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার নিরাপত্তা নিয়ে আরও কড়া হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রানাঘাটের অনেক জায়গা আছে, আমরা বলতাম ধানতলা থেকে বানতলা। অর্থাৎ হঠাৎ করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে হবে। বাড়াতে হবে নাকা চেকিং।’ মুখ্যমন্ত্রী কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘সব জায়গায় নাকা চেকিং এখন থেকে বাড়াও। বিহার থেকে এক হাজার টাকায় অস্ত্র চলে আছে। ওপার থেকে চলে আসছে। ইধার-উধার থেকে চলে আসছে। এগুলো সামলাতে হবে।’ এরপর উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গকে ছিন্নভিন্ন করার জন্য সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র চলে আসছে। এই বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে।’
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জায়গায়-জায়গায় ঘুরে পরিদর্শন করার পরামর্শ দেন বিডিয়োদের। বলেন, ‘মাঝে-মধ্যে সাইকেলে-রিক্সা করে ঘুরুন। বাইকে চড়ে এলাকায় যান। ভাল লাগবে আপনার। অনেকের কোমরে ব্যথা আছে। তাই তাঁরা খাটে গিয়ে বসুন। কথা বলুন মানুষের সঙ্গে। আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে আইসিও থাকবে।’ একই সঙ্গে বলেন, ‘আইসিডিএস, আশাকর্মীদের কাজ কেমন হচ্ছে। আর ভোটার লিস্ট ঠিক মতো হচ্ছে কি না দেখুন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনারা তদারকি করুন।’
প্রসঙ্গত আজ পিডব্লুডি (Pwd)-র কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা।পূর্ত দফতরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সাফ জানিয়েছেন যে, বেসরকারি হোক বা সরকারি সংস্থা এবার সার্কিট হাউসের কাজ নিজেদের টাকাতেই মেটাতে হবে। কারণ সরকার আর একটা টাকাও দেবে না। এরপর ওই সভাতেই বিডিয়োদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে শুধু মমতা নন, গতকাল কাঁথিতে আয়োজিত এক সভায় কুণাল ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানায় এনে বলেন, ‘এক টানে তে যেমন তেমন, দুটানেতে রুগী, সারাজীবন চুরি করে শুভেন্দু নাকি যোগী৷ তাই ওর মুখে বড় বড় কথা মানায় না।’ সেই সভা থেকেই তিনি দাবি করেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে ঢুকছেন৷ তাঁর গাড়ি করেই অস্ত্র ও টাকা নন্দীগ্রামে ঢুকছে। এমন অনেক অভিযোগ আসছে৷ তাই প্রশাসনকে অনুরোধ করব অবিলম্বে যেন তাঁর নিরাপত্তাবাহিনী ও গাড়িতে চেকিং করা হয়।’ এরপর অস্ত্র ইস্যু নিয়ে ফের সরব হন মমতা।