Krishnanagar: মহুয়া তো জিতলেন, তবে কৃষ্ণনগর শহরে তৃণমূলের ভরাডুবি কেন?

Krishnanagar: বিজেপির দাবি, তৃণমূল যেখানে পেশিশক্তি খাটাতে পেরেছে, সেখানেই জিতেছে। কৃষ্ণনগর শহরের মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন, তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূলের মুখপাত্রের দাবি, এখানে মানুষ সবরকম সুবিধা পান। তারপরও কেন ভোট দেননি, তা বোঝা যাচ্ছে না।

Krishnanagar: মহুয়া তো জিতলেন, তবে কৃষ্ণনগর শহরে তৃণমূলের ভরাডুবি কেন?
মহুয়া মৈত্রImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 23, 2024 | 11:13 PM

নদিয়া: লোকসভা ভোটে মহুয়া মৈত্রের জয় হলেও কৃষ্ণনগর পুরএলাকায় তৃণমূলের ফলাফল একেবারেই ভাল হয়নি। কৃষ্ণনগর শহরকে বরাবরই বিজেপির একটা জোরাল মাটি বলে মনে করা হয়। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটের ফলেও তারই প্রতিফলন দেখা গেল। কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত কৃষ্ণনগরই একমাত্র পুরসভা, যেখানে বিজেপি ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৪টিতেই জয়ী হয়েছে। এত খারাপ ফল নিয়ে ময়নাতদন্ত শুরু করেছে শাসকদল। সূত্রের খবর, এই হারের ভার নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়ে কৃষ্ণনগর শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ দত্ত পদত্যাগপত্র করতে চেয়েছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, তিনি পদত্যাগ করতে চেয়ে জেলা সভাপতির কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছেন।

তবে শহর সভাপতির ঘাড়ে একা দোষ ঠেলতে নারাজ তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস রায়। তিনি বলেন, এ হারের দায় সকলের। তাঁর কথায়, “তিনি সঠিকভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি, সেই দায় হয়ত তিনি নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছেন। যদিও দায়টা সামগ্রিক। শহর সভাপতি বলে দায় তো তাঁর একার নয়। এতজন কাউন্সিলর আছেন, অন্যান্য নেতৃত্ব, কমিটি আছে। আমরা মনে করি আমাদের সকলের দায়।”

তবে কেন মানুষ এভাবে শহরে তৃণমূলকে ফেরাল, তার কোনও হিসাব খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান তৃণমূল মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “এর কারণ নেই কোনও। মানুষ কী পায় না আমাদের কাছ থেকে? তৃণমূল সরকারের সবকটা প্রকল্পের সুফল পান কৃষ্ণনগরের মানুষ। কাউন্সিলর থেকে জেলা নেতৃত্ব সকলে পাশে থেকেছেন। জানি না কেন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।”

তবে বিজেপির দাবি, তৃণমূল যেখানে পেশিশক্তি খাটাতে পেরেছে, সেখানেই জিতেছে। কৃষ্ণনগর শহরের মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছেন, তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। বিজেপির মিডিয়া আহ্বায়ক (নদিয়া জেলা উত্তর) সন্দীপ মজুমদারের কথায়, “কৃষ্ণনগর শহর তথা কৃষ্ণনগর পুরসভা কেন্দ্রিক বিজেপির একটা সংগঠন দীর্ঘদিনের। সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম সকলেই জানেন। এখানে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারেনি এবারও।”