Nadia: হায় রে সন্ন্যাস! খেজুরির গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা আখড়া! তার আড়ালেই… সন্ন্যাস নেওয়ার পরও কিনা ছেলে এই নেশার মত্ত! ভাবতেও পারছেন না মা
Nadia: সুশান্তর বাড়িতে গিয়েছিল TV9 বাংলা। দেখা মেলেনি তাঁর সঙ্গে। বরং ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি জানান, সাধু ওরফে সুশান্ত ঘোষ এখন এখানে থাকেন না। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান। তবে ছেলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
নদিয়া: সীমান্ত রহস্যজনক বাঙ্কার! আর সেটাই এখন মাথাব্যথার কারণ সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের কাছে। কেবল বাঙ্কারই নয়, এবার আতঙ্ক বাড়াচ্ছে চেম্বার। নদিয়া সীমান্তে চেম্বারের হদিশ মিলেছে। তিন দিনে টুঙ্গি সীমান্তে চারটি বাঙ্কারের হদিশ মিলেছে। এবার আরও একটি চেম্বারের হদিশ মিলল নদিয়ার সীমান্তে। সীমান্ত থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে চারটি বাঙ্কার, একটি চেম্বারের হদিশ মিলেছে। শুধুই কি চোরাচালানের জন্য এই চেম্বার-বাঙ্কার বানানো হয়েছে নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় কোনও রহস্য?
টুঙ্গি সীমান্তে একটি ঘরের নীচ থেকে বাঙ্কারের খোঁজ মিলেছে। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল। তার পাশেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি চেম্বারের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। সেখানে পুঁতে রাখা ছিল একটা প্লাস্টিকের জলের ট্যাঙ্ক। তবে তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফেনসিডিল। কিন্তু NCB-র আধিকারিকদের মতে, কেবল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ নয়, আরও বড় কিছু ষড়যন্ত্রেই রয়েছে এর পিছনে।
বাঙ্কারে নিষিদ্ধ ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক ব্যক্তির নাম। তেমনই একজন লাল ওরফে সুশান্ত ঘোষের নাম। তিনি বর্তমানে সন্ন্যাস ধারণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সাধুর ছদ্মবেশে চালাতেন এই কারবার।
সেই সুশান্তর বাড়িতে গিয়েছিল TV9 বাংলা। দেখা মেলেনি তাঁর সঙ্গে। বরং ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁর মা। তিনি জানান, সাধু ওরফে সুশান্ত ঘোষ এখন এখানে থাকেন না। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘুরে বেড়ান। তবে ছেলে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নন।
তবে TV9 বাংলার কাছে সুশান্তর মা স্বীকার করেছেন, বছর নয়েক আগে তাঁর ছেলে এই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এখন তাঁর অন্যান্য আত্মীয়রা যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁর ছেলে নন। কারণ ওই জমিটা তাদের আত্মীয়দের জমি।
অথচ রেকর্ড বলছে অন্য কথা। যে জমিতে বাঙ্কার-চেম্বারের হদিশ মিলেছে, সেই জমিগুলি রেকর্ড রয়েছে সুশান্ত ঘোষের আত্মীয়র নামে। মায়ের দাবি, বিগত সাত বছর আগে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ সুশান্তকে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ ব্যবসায় যুক্ত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার করে। চার বছর কৃষ্ণনগর কারাগারে থাকেনও সুশান্ত।তিন বছর আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। তারপর থেকে সে আর এখানে থাকেন না। মায়ের দাবি, ছেলে সন্ন্যাস নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৪ শে জুলাই মাসে ভীমপুর থানা এলাকায় কুড়ি হাজার ফেনসিডিলের বোতল উদ্ধার হয়। সেক্ষেত্রেও নাম জড়ায় এই সুশান্তর। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। তাঁর নামে সে সময়ে ওয়ারেন্ট জারি হয়।