Nadia Cyber Crime: রোজই পাড়ার কোনও না কোনও মহিলার অন্তর্বাস চুরি যাচ্ছে, চোরের নাম জানতেই চক্ষুচড়কগাছ!
Nadia Cyber Crime: এবার প্রশ্ন এত অন্তর্বাস দিয়ে কী করতেন ওই যুবক?
নদিয়া: বাড়ির সামনে দড়িতে শুকোতে দিয়েছেন কেউ, ফিরে এসে দেখছেন নেই। আবার কেউ দেখছেন বাড়ির ব্যালকনিতে মেলা থাকলেও, কিছুক্ষণের মধ্যে সেটা উধাও। বাকি জামাকাপড় সব ঠিকঠাকই রয়েছে, নেই কেবল অন্তর্বাস। মহিলাদের ব্যবহৃত অন্তর্বাস চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটে। যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যা উদ্ধার হয়েছে, তা আরও চাঞ্চল্যকর। এক বস্তা ভর্তি মহিলাদের ব্যবহৃত অন্তর্বাস উদ্ধার হয়েছে ওই যুবকের বাড়ি থেকে। ধৃতের নাম সত্যজিৎ দাস। তিনি রানাঘাটের সড়কপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
গত কয়েক মাস ধরেই এলাকায় একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটছিল। এলাকার বিভিন্ন মহিলার অন্তর্বাস চুরি যাচ্ছিল। এলাকায় খবরটা চাউর হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ছিঁচকে চোরই এসে থাকে, তাহলে বাকি জামাকাপড় নিচ্ছে না কেন? এই নিয়ে এলাকায় কানাঘুষো চলতেই থাকে। এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
এরই মধ্যে রবিবার জামাকাপড় কেচে বাড়ির সামনে দড়িতে টাঙিয়েছিলেন এক মহিলা। কিছুক্ষণ পর দেখেন, এক যুবক অন্তর্বাস নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তিনি চিৎকার করতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই যুবককে। অন্তর্বাস চুরি করার দায় স্বীকার করে নেন তিনি।
এরপরই সত্যজিৎকে রানাঘাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। একটা বস্তা ভর্তি মহিলাদের অন্তর্বাস।
এবার প্রশ্ন এত অন্তর্বাস দিয়ে কী করতেন ওই যুবক?
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘ দু’বছর ধরে এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। কিন্তু অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরতে পারতেন না তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, শুধু অন্তর্বাস চুরিই নয়, স্থানীয় মহিলাদের মুখের ছবি সুপার ইম্পোজ করে লাগিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্রি করতেন। সম্প্রতি হাওড়া থেকেও এই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। এটা নতুন কোনও চক্র কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত পুলিশ হেফাজতে থাকায়, তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।