Nadia: হাত বাঁধা, পায়ে ইট, মাটিতে শুয়ে বৃদ্ধার কাতর চিৎকার ‘ও মা গো..বাবা গো’, বৌমার কথা, ‘চিকিৎসা চলছে’
Nadia: ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপের মায়াপুরের। ওই বৃদ্ধার নাম বকুল দাস। অভিযোগ, তাঁর বৌমা ঝর্ণা দাস তাঁকে হাত পা বেঁধে ফেলে রেখেছে মাটিতে। এ প্রসঙ্গে বকুল দাসের দাবি, এটা চিকিৎসার অংশ। চিকিৎসকই বলেছেন পায়ে কোনও ভারি জিনিস দিয়ে রাখতে।
নদিয়া: বাড়ির উঠোনে শুয়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। পায়ের উপর রাখা ইট, পাথরের স্ল্যাপ। হাত দুখানি বাঁধা। আর অসহায়ের মতো চিৎকার করছেন তিনি। ‘ও বাবা গো…মা গো…’ কিন্তু কেউ নেই যে সেই হাত খুলে দেবে। অভিযোগ, বৃদ্ধার বৌমা নাকি এই কীর্তি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এমনই একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা)। আর সেই ভিডিয়ো দেখে বাড়িতে চড়াও এলাকাবাসী। অভিযোগ, মহিলাকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁরা। এরপরই বৃদ্ধার বৌমার সাফাই, ডাক্তারই নাকি বলেছেন ওনার পায়ে ভারী কিছু চাপিয়ে রাখতে।
ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপের মায়াপুরের। ওই বৃদ্ধার নাম বকুল দাস। অভিযোগ, তাঁর বৌমা ঝর্ণা দাস তাঁকে হাত পা বেঁধে ফেলে রেখেছে মাটিতে। এ প্রসঙ্গে বকুল দাসের দাবি, এটা চিকিৎসার অংশ। চিকিৎসকই বলেছেন পায়ে কোনও ভারি জিনিস দিয়ে রাখতে। ঝর্ণা বলেন, “ইচ্ছা করে আমার নামে অভিযোগ করছে। এটা তো ডাক্তারবাবু বলেছে। এবার আমার কাছে তো লিখিত অভিযোগ নেই। কীভাবে প্রমাণ করব। আর যারা অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় কেস করব না। মাঝে মধ্যে অশান্তি করে।” কিন্তু এই ভাবে কি সত্যিই কোনও চিকিৎসা করা হয়?
অপরদিকে, বৃদ্ধা শ্বাশুড়িও বলেছেন, তাঁর বৌমা নাকি খুব যত্ন করেন। তাঁকে মারধর করেন না। বকুল দেবী বললেন, “আমার বৌমা আমায় খুব ভালবাসে। যত্ন করে। হাসপাতাল বলেছিল পায়ে ভারী কিছু দিয়ে রাখতে। এবার আমি ফেলে দিই বলে আমার হাত বেঁধে রেখেছিল। যেহেতু ব্যথা লাগছিল সেই কারণে কেঁদে ফেলেছি।” তবে এখানেও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। আদৌ ওই বৃদ্ধা সত্যি বলছেন, নাকি তাঁকে দিয়ে জোর করে বলানো হয়েছে? একাধিক প্রশ্ন কিন্তু জিইয়ে রয়েছে।