Nadia: টাকা না দেওয়ায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত, রক্তাক্ত বাবাকে মাটিতে ফেলে লাগাতার লাথি ছেলের
Nadia: শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা। ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের।
নদিয়া: কিছুদিন আগে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মেটেলি ব্লকে মদ্যপ ছেলের হাতে খুন হয়ে যান বাবা। নাখাটি চা বাগানের ঝরনা লাইন শ্রমিক মহল্লায় বাস করতেন বলদেব ওঁরাও( ৫৭) নামের এক বৃদ্ধ। তাঁর ছেলে রুপেশ ওঁরাও (২৭) প্রায় মদ খেয়ে বাড়িতে ঝামেলা করত বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগে সেই বিবাদ চরমে ওঠে। বেধড়ক মারধর করা হয় বাবাকে। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এবার কার্যত একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল নদিয়ায় (Nadia)। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় একমাত্র ছেলের বেধড়ক মারে গুরুতর আহত বাবা। এছাড়াও ঘরে রাখা নগদ অর্থসহ জমির দলিল লুটপাট করে পলাতক অভিযুক্ত ছেলে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের সুত্রাগড় অঞ্চলের উত্তরপাড়া এলাকায়। এলাকার বাসিন্দা শ্যামল ঘোষের অভিযোগ হঠাৎ তাঁর ছেলে বাড়িতে ঢুকে তার ঠাকুমার কাছে টাকার দাবি করে, ঠাকুমা দিতে রাজি না হওয়ায় ঠাকুমাকে মারধর করতে উদ্ধত হয়। ছেলে রাকেশ ঘোষের কাণ্ড দেখে প্রতিবাদ করেন বাবা। আটকান ছেলেকে। তখনই সামনে রাখা একটি আস্ত ইট দিয়ে ছেলে বাবার মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন বাবা শ্যামল ঘোষ। বাবার এই অবস্থা দেখেও থামেনি ছেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা শ্যামল ঘোষের শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগাতার লাথি মারতে থাকে রাকেশ।
তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ততক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরাই তড়িঘড়ি শ্যামলবাবুকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয় আক্রান্ত শ্যামল ঘোষের। তবে তখনও বাকি ছিল আরও চমকের। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। দেখা যায় ঘরের বাক্সতে রাখা নগদ টাকা এবং জমির দলিল, কাঁসার বাসনপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে রাকেশ। এরপরই শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন শ্যামলবাবু। ছেলের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই তাঁর খোজ শুরু করেছে পুলিশ। তবে শ্যামলবাবুর দাবি, বিভিন্ন ধরনের নেশায় আসক্ত তাঁর ছেলে। নেশা করার জন্য প্রায়ই বাড়ি থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করত।