Nadia : ‘তোরা এখান থেকে বেরিয়ে যা’, স্কুল ভেঙে ক্লাব তৈরির হুঁশিয়ারি বাইক বাহিনীর
Nadia : স্কুল ভেঙে ক্লাব ঘর তৈরির হুমকি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিপুদ্ধে। তীব্র চাঞ্চল্য নদিয়ার পায়রাডাঙা প্রফুল্লনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
নদিয়া : স্কুল ভেঙে ক্লাব ঘর তৈরির হুমকি বাইক বাহিনীর। তীব্র আতঙ্ক নদিয়ার (Nadia) প্রফুল্ল নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, এদিন স্কুল চলাকালীন সময়ে আচমকা স্কুলে হানা দেয় প্রায় ২০-২৫ জনের একটি বাইক-বাহিনী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল (Trinamool Congress) করেন বলে খবর। স্কুলে ঢুকে রীতিমতো চমকাতে থাকেন শিক্ষিকাদের। ধমক দেন পড়ুয়াদেরও। দেখতে চায় রেজিস্ট্রার খাতা। স্কুল পড়য়াদের অভিভাবকদের দাবি, ওদের মধ্যে অনেকেই এলাকার যুবক। তৃণমূল করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের গেটে ঝুলিয়ে দেন তালা। অন্যদিকে তীব্র আতঙ্কে রয়েছে স্কুলের পড়ুয়ারাও। আতঙ্কে রয়েছেন স্কুলের ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাও। স্কুলে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫৯ জন। ঘটনার পর থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্পা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যেখানে শিক্ষকদের নিরাপত্তা নেই সেখানে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করবে কী করে। আমরা নিজেরাও এখন স্কুল আসতে ভয় পাচ্ছি। আমরা কী করব আমরা এখন নিজেরাই বুঝতে পারছি না। একদিন নয়। আমরা সাতদিনও স্কুল বন্ধ রাখতে পারি এর কোনও সুবিচার না হলে। থানায় অভিযোগ না জানালেও স্কুল পরিদর্শককে ঘটনার কথা জানিয়েছি।”
একই সুর অভিভাবক সুপ্রিয়া সরকারের গলায়। বলেন, “পড়ুয়ারা খুব ভয় পেয়েছে। এসব দেখে ওরা কেউ স্কুলে আসতে চাইছে না। আমার ছেলে তো বলছে মা স্কুল ভেঙে দিলে স্কুলে যাব কী করে! পড়ব কোথায়! স্কুলে যেতে বললেই বলছে আমি আর স্কুলে যাব না। এদিন প্রায় ২০-২৫ জন এসেছে বলে শুনেছি। এসে স্কুলে ভেঙে ক্লাব তৈরির হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। আমরাও খুব ভয়ে আছি।” ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আর এক অভিভাবক রূপা বিশ্বাস। তিনি বলেন, “বাচ্চাদেরও হুমকি দিয়েছে। বলেছে তোরা এখন থেকে বেরিয়ে যা। আমরা স্কুল ভেঙে ক্লাব ঘর করব। যারা এসেছিল ওদের অনেকে আমাদের মুখ চেনা। এলাকায় তৃণমূল করে।” যদিও অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল। রানাঘাট শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার বোস বলেন, “এটা পুরোপুরো মিথ্যা কথা। যাঁরা বাইকে গিয়েছিল ওদের গায়ে কী তৃণমূলের লেবেল লাগানো আছে? নাকি দলের পতাকা নিয়ে গিয়েছে। আমাদের দলের তরফে এরকম কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। গ্রামের কিছু যুবক হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থে করেছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।”