Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হালিশহরের নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা রাজ্যের

"নবনীতার পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দমকলে একটি ক্লারিক্যাল পোস্টে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।"

হালিশহরের নিহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা রাজ্যের
নিহত বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল ও স্ত্রী নবনীতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2020 | 7:46 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: হালিশহরে ‘রাজনৈতিক হিংসা’য় নিহত বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের (Saikat Bhawal) স্ত্রীকে দমকলে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। বুধবার নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক নিহত সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী নবনীতার সঙ্গে দেখা করে এটি ঘোষণা করেন।

কিছুদিন আগেই হালিশহরে বিজেপির ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’এ বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের মারে নিহত হন বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। বিজেপি আঙুল তোলে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার সৈকতের বাড়িতে যান নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সৈকতের স্ত্রী নবনীতা ভাওয়ালকে রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা জানান। বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “নবনীতার পরিবার তৃণমূলের সঙ্গে বহুদিন ধরে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু দমকলে একটি ক্লারিক্যাল পোস্টে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।”

যদিও বিষয়টার তীব্র কটাক্ষ করেছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, “পার্থ ভৌমিক নাটকবাজ! রাজ্যে লক্ষ লক্ষ বেকার রয়েছেন। চাকরির জন্য অনশন করছেন। সেখানে কেবল চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

নিহত সৈকত ভাওয়ালের স্ত্রী নবনীতা রাজ্য সরকারের চাকরি গ্রহণ করলেও, তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা মানতে নারাজ। সৈকত ভাওয়ালের মা বলেন, “যারা আমাদের ছেলেকে খুন করল. তাদের চাকরি আমাদের দরকার নাই!”

আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানেও থাকছেন না শিশির! তবে কি শুভেন্দুর কথাই সত্যি হবে?

প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুয়েক আগেই হালিশহরের বারেন্দ্রগলি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ‘গৃহ সম্পর্ক’ অভিযান যাত্রায় সামিল হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়াল। অভিযোগ, সেই সময় ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী সৈকতের ওপর চড়াও হয়। রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই আঙুল তোলে পরিবার ও বিজেপি।