Basirhat: চিমনি দুর্ঘটনায় রাজ্য দিচ্ছে ২ লক্ষ টাকা, ক্ষতিপূরণ শুনে মৃতের স্ত্রী বললেন…

Basirhat:উল্লেখ্য, গত ১৩ই ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাট ১নং ব্লকের শাঁকচূড়া-বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলতিথায় ইটভাটা চিমনির কাজের জন্য আগুন লাগানো হয়। তখনই ১২০ ফুটের লম্বা চিমনি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চিমনির তলায় সেই সময় দাঁড়িয়েছিলেন ভাটার মালিক অসিত ঘোষ।

Basirhat: চিমনি দুর্ঘটনায় রাজ্য দিচ্ছে ২ লক্ষ টাকা, ক্ষতিপূরণ শুনে মৃতের স্ত্রী বললেন...
বসিরহাটে তুলে দেওয়া হল ক্ষতিপূরণের চেকImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2023 | 12:27 PM

বসিরহাট: সম্প্রতি বসিরহাটে চিমনি ভেঙ পড়ে মৃত্যু হয় চারজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনার পরই রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিল। অবশেষ মৃতদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা এবং আহত পরিবারদের হাত ৫০ হাজার টাকা তুলে দিল সরকার।

উল্লেখ্য, গত ১৩ই ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় বসিরহাট ১নং ব্লকের শাঁকচূড়া-বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলতিথায় ইটভাটা চিমনির কাজের জন্য আগুন লাগানো হয়। তখনই ১২০ ফুটের লম্বা চিমনি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। চিমনির তলায় সেই সময় দাঁড়িয়েছিলেন ভাটার মালিক অসিত ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন শ্রমিক হাফিজুল মণ্ডল এবং উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের বাসিন্দা রাকেশ কুমার ও জেঠুরাম। প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হন। পরে মৃত্যু হয় তাঁদের। চিমনি ভেঙে পড়ার ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন।

এই খবর জানতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। একদিকে ভিন রাজ‍্যের দুই শ্রমিকের মৃতদেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সবরকম প্রশাসনিক ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন।

ঘটনার পাঁচ দিনের মধ্যে মৃত চার পরিবারের হাতে পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক তুলে দিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, বসিরহাটের মহকুমা শাসক আশীস কুমার,বসিরহাট ১নং ব্লকের বিডিও,বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষী বন্দ্যোপাধ্যায় ও বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী সহ প্রশাসনিক আধিকারিক ও জন-প্রতিনিধিরা। তবে এই ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিক ও রাজ্যের ফরেন্সিক দল গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

বসিরহাট ১নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা শাসকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেতেই আমরা মৃত এবং আহতদের পরিবারের হাতে সেই ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়েছি।” অপরদিকে, মৃত অসিত ঘোষের স্ত্রী কৃষ্ণা ঘোষ বলেন, “আমার পরিবারের সবাই অসুস্থ। বলার কিছু নেই আর। যে হারিয়ে গিয়েছে সে তো আর ফিরে আসবে না। আর্থিক সাহায্য পেয়ে কী হবে দাদা। মাথার উপরের ছাদটাই চলে গেল।”