Arpita Mukherjee: ‘পুজো আসছে বলে কি কাপড় দিতে আসবে?’, মেয়ের কথা উঠতেই রেগে উঠলেন অর্পিতার মা
Arpita Mukherjee: অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায় বেলঘড়িয়ার দেওয়ানপাড়ায় স্বামীর ভিটেয় থাকেন। বহু পুরনো সে বাড়ি। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। মেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, কলকাতাতেই থাকতেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: এক বছর ধরে মেয়ে জেলে। মা একাই থাকেন বেলঘড়িয়ার বাড়িতে। মেয়ের কথা উঠতে কিছুটা রেগেই উঠলেন মা। গত বছর ২২ জুলাই। গোটা রাজ্যজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল একটিই খবর, ‘শহরে টাকার পাহাড়’। টালিগঞ্জের হরিদেবপুরের অভিজাত আবাসনে হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এরপর যা ঘটেছিল, চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম বললেও কম বলা হয়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মডেলের বাড়ি থেকে রাতভর শুধু টাকাই উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপর ধীরে ধীরে ঘটনায় নিত্য নতুন মোড়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়া, পার্থর বান্ধবী হিসাবে অর্পিতার পরিচয় সামনে আসা, বেলঘড়িয়া ক্লাব টাউনে অর্পিতার আবাসনে শৌচাগারের ক্যাবিনেট থেকে আরও কয়েক কোটি টাকার খোঁজ —ঘটনাবহুল সেইসব দিন। একটা বছর কেটে গিয়েছে। অর্পিতা জেলে, গরাদের পিছনে দিন কাটছে পার্থরও।
অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায় বেলঘড়িয়ার দেওয়ানপাড়ায় স্বামীর ভিটেয় থাকেন। বহু পুরনো সে বাড়ি। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। মেয়ে যখন জেলের বাইরে ছিলেন, কলকাতাতেই থাকতেন। মাঝেমধ্যে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। পাড়ায় সম্ভ্রান্ত পরিবার হিসাবেই মুখার্জিদের পরিচিতি। সেই বাড়ির মেয়ের নামে টাকা তছরুপের অভিযোগ, জেল হেফাজত, সম্পর্কের টানাপোড়েন, আজকাল একটু মেজাজিই হয়ে থাকেন মিনতিদেবী।
এক বছর ধরে মেয়ের সঙ্গে দেখা নেই। মনে পড়ে না মেয়েকে? প্রশ্ন শুনেই বিরক্ত মিনতিদেবী। বললেন, “না। পুজো আসছে বলে ও কি জামাকাপড় নিয়ে আসবে?” তবে বললেন, মেয়ের সঙ্গে কথা হয় নিয়মিত। মিনতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিদিন মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। যেদিন যে সময়ে কথা বলার, সেই সময়ই কথা হয়। সেখানে কী কথা বলা হবে? শরীর ভাল নেই।”